যে যুক্তি দেখিয়ে নཧির্বাচনী বন্ড মামলায় আরও সময় চেয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), তা ধোপে টিকল না সুপ্রিম কোর্টে। বরং সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে কোন সংস্থা কোন দলকে নির্বাচনী বন্ড দিয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য ‘ম্যাচিংয়ের’ কোনও প্রয়োজন নেই। দুটি তথ্য পৃথকভাবে জানালেই হবে। ফলে ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ককে বাড়তি সময় দেওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না। আগামিকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সোমবার শীর্ষ আদালতে নির্বাচনী বন্ড মামলার শুনানিতে এসবিআইয়ের আইনজীবী হরিশ সালভে দাবি করেন, কোন সংস্থা বন্ড প্রদান করেছে এবং কোন দল সেটা পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য মিলিয়ে দেখার ক্ষেত্রে সমস্যার ജমুখে পড়তে হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত তথ্য দুটি আলাদা জায়গায় রাখা আছে। তাই আরও কিছুটা সময় দেওয়ার আর্জি জানান সালভে।
সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, শীর্ষ আদালত মোটেও এসবিআইকে🥂 ম্যাচিংয়ের কাজ করতে বলেনি। স্রেফ নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য সামনে আনতে বলেছে। তাই যে ভিত্তিতে বাড়তি সময় চাইছে এসবিআই, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
তখন সালভে জানান যে এসবিআইয়ের কাছে যে তথ্য আছꦿে, সেটা অস্বীকার করছেন না তিনি। কিন্তু তাঁদের বলা হয়েছিল যে এই বিষয়টার গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। সেইমতো নির্বাচনী বন্ডের পুরো কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। আর এখন কোনওরকম ভুল𓆉 করে পুরো কাঠামোয় ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে না এসবিআই।
সেই কথা শুনে বিচারপতি খান্না মন্তব্য করেন, 'এখানে কোনওরকম ভুল🌠ের কোনও প্রশ্নই উঠছে না। আপনাদের কাছে কেওয়াইসি আছে। আপনারা দেশের এক নম্বর ব্যাঙ্ক। আমরা আশা করি যে আপনারা এরকম পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন।' সেইসঙ্গে এসবিআইয়ের তরফে যে যুক্তি পেশ করা হয়েছিল, সেটার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বিচারপতি খান্না বলেন, 'স্রেফ মুখবন্ধ খামটা খুলে ফেলুন, নামগুলি সংগ্রহ করুন এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য জমা দিন꧟।'
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কোন সংস🌳্থা নির্বাচনী বন্ড দিয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য ‘ম্যাচিং’ না করতে হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির ‘শুঙাকাঙ্খীদের’ নামটা সরাসরি বোঝা যাবে না। এসবিআইকে সেই তথ্য মেলাতে না হলেও দুটি তালিকা খুঁটিয়ে দেখলেই সেই বিষয়টি বোঝা যাবে না মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অর্থাৎ কোন সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলকে কত টাকা দিয়েছে, সেটা অনুমান করা 🉐যাবে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ তথা শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘দারুণ পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু দাতা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দুটি পৃথক তালিকা থাকার বিষয়টি কি ঠিক?’