সম্প্রতি ধনকুবের ইলন মাস্ক এবং ব্যবসায়ী বিবেক রামাস্বীমাকে সরকারি পদে নিয়োগের ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দুই কট্টর সমর্থক 'ডিপাটমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি'র প্রধান হবেন। একই দফতরের দুই প্রধান নিয়োগ নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন জেগেছে। এই আবহে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মার্কিন সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। এই নিয়ে তিনি একটি পোস্টে লিখেছিলেন, 'বিভাজিত নেতৃত্বের মাধ্যমে ডিপাটমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি খুব দুর্দান্ত একটি সূচনা করতে চলেছে: একজন মানুষের কাজ দু'জন করবেন। হ্যাঁ, এটা খুবই কার্যকর।' আর এই কটাক্ষের জবাবেই এবার নিজেদের বেতন নিয়ে মুখ খুললেন ইলন মাস্ক। (আরও পড়ুন: বাংলায় নয়া রেলপথের 'কাঁটা' এক দিঘি, অনড় ৯১, ৯৫০ মিটারের জন্যে নাছো♚ড়বান🅰্দা রেলও)
আরও পড়ুন: 'সাময়িক বঞ্চনার' অবসান, একꦫলাফে ১২% ডিএ বাড়িয়ে কর্মীদের 'বড় উপহার' সরকারের
টেসলা, এক্সের মতো বহুজাতিক সংস্থার মালিক এলিজাবেথকে জবাবে জানালেন, ডিপাটমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির পদে বসার জন্যে তিনি বা বিবেক রামাস্বামী কোনও বেতন নিচ্ছেন না। নিজের পোস্টে মার্কিন সেনেটরকে পালটা খোঁচা মেরে মাস্ক লেখেন, 'আপনার মতো বেতন নেব না আমরা দু'জনের কেউই। তাই এটা বেশ কার্যকরই বটে। মার্কিন নাগরিকদের জন্যে ডিপাটমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি মহান সব কাজ করবে। ইতিহাসকেই এর বিচার করতে দিন।' এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন কত? মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে আমেরিকার কোড অনুযায়ী, বছরে বেতন বাবদ ৪০০,০০০ মার্কিন ডলার পান প্রেসিডেন্ট। যে অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় ৩.৩৮ কোটি টাকার মতো। মাসে-মাসে সেই টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন হল ৩৩,৩৩৩ মার্কিন ডলার। যে অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় ২৮.১৩ লাখ টাকার মতো। (আরও পড়ুন: 'বা🍸ংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে ভারতের বলার দরকার নেই', বললেন ইউনুস সরকারের উপদেജষ্টা)
আরও পড়ুন: গুরু নানক জয়ন্তীতে আজ কি সরকারি ছুটি? ১৬ নভেম্বরও কি বাংলায় বন্ধ থাকবে𝐆 ব্যাঙ্ক?
একদা ডেমোক্র্যাট ইলন মাস্ক এই নির্বাচনে রিপাবলিকানদের হয়েই প্রচার করেছেন। এমনকী ট্রাম্পের জন্যে জলের মতো টাকাও ঢেলেছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যে মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেবেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী একটা সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রাইমারিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড় থামিয়ে ট্রাম্পের হয়ে গলা ফাটান। ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় এহেন বিবেক রামাস্বামীকে সেক্রেটারি অফ স্টেট করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে তা হয়নি। রিপাবলিকান শিবিরে ক্রমেই গুরুত্ব বেড়েছ ৩৯ বছর বয়সি ব্যবসায়ী বিবেকের। একটা সময় তো এমনও মনে করা হয়েছিল যে হয়ত রামাস্বামীকেই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করতে পারেন ট্রাম্প। অবশ্য সেটাও হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত আশা অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হচ্ছেন রামাস্বামীও। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলে হত্যায𝄹জ্ঞ চলবে', চরম হুঁশিয়ারি ইউনুসকে)
আরও পড়ুন: 'যখন সপ্তাহে কর্মদিবস ৬ থেকে কমিয়ে ৫ দি♛ন করা হ🀅ল...', ফের বিস্ফোরক নারায়ণ মূর্তি
এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসনের 'ডিপাটমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি'র কাজ হবে আমলাতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে, বিধিনিয়মের নাগপাশ কাটিয়ে, অযথা খরচ কমিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির পুনর্নিমাণ করা। মাস্🔜ক এবং♏ বিবেককে নিয়ে ট্রাম্প নিজের বিবৃতিতে বলেন, 'আমেরিকার নাগরিকদের জীবনকে উন্নততর করে তুলতে ওঁরা যুক্তরাষ্ট্রীয় আমলাতন্ত্রে কী পরিবর্তন আনেন, তা দেখার জন্যে মুখিয়ে আছি আমি। একসঙ্গে মাস্ক এবং বিবেক আমেরিকার সরকারকে আবর্জনা মুক্ত করতে পারেন, জালিয়াতি মুক্ত করতে পারেন।' ট্রাম্প জানিয়েছেন, ট্রাম্প এবং বিবেকের এই দফতর বাইরে থেকে সরকারকে উপদেশ দেবে।