মেয়ের প্রেমিককে গুলি করে খুন করলেন অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের ক্রসিং রিপাবলিক থানা এলাকায়। মৃত যুবকের নাম বিপুল ভার্༺মা (২৩)। তিনি বিটেকের ছাত্র ছিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি যুবককে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুনঃপরীক্ষার প্রস্তুতি না নেওয়ায় মেয়েকে পিটিয়ে মারল বাবা,♒ গ্রেফতার অভিযুক্ত
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদ টাউনশিপের প্যারামাউন্ট সিম্ফনি আবাসনের ১৪ তলায়। বিপুল এবিইএস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিলেন। বিপুল ও তার বান্ধবী বালিয়ার একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। সেই♛ সূত্রেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এদিকে, ওই যুবতী নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম🤡্প্রতি তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে ঘন ঘন ঝগড়া হতো। এই ঘটনার আগেও তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। এদিকে, বিএসএফ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজেশ একটি বেসর𓂃কারি সংস্থায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন। মেয়ের সঙ্গে ওই যুবকের ঝগড়ার খবর পেয়ে রাজেশ দিল্লিতে মেয়ের ফ্ল্যাটে চলে যান। এরপর এবিষয়ে কথা বলার জন্য তিনি যুবককে মেয়ের ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠান। উল্লেখ্য, ওই আবাসনের ৭ তলায় থাকতেন বিপুল।
সেইমতো বিপুল সেখানে পৌঁছন। ঘটনায় দুজনের মধ্যে বচসা বাঁধে। তখনই নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তল বের করে বিপুলকে পর এক🎐 গুলি করে খুন করেন রাজেশ। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ টি গুলি চালানো হয়। পরে রাজেশ নিজেই পুলিশকে ফোন করে গুলি চালানোর কথা জানান। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে বিপুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা বিপুলকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় মেয়ের বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুꦅলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এসিপি পুনম মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত☂ রাজেশ বালিয়ার বাসিন্দা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারকেও জানানো হয়েছে। অভিযুক্তের দাবি, বিপুল তার মেয়েকে উত্যক্ত করতেন। বিপুলের শরীরে ঠিক কতগুলো গুলি লেগেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সেবিষয়ে স্পষ্ট জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।