ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স-সহ বিশ্বের ৭০টি দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী ব্যব🐓হৃত অস্ট্রি🐭য়ার গ্লক পিস্তল এবার নাগালে এল ভারতের অসামরিক গ্রাহকদেরও। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পরিকল্পনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন নির্মাতা ও ক্রেতারা।
﷽২০১৯ সালে তামিল নাডুর কাউন্টার মেসার্স টেকনোলজিস প্রাইভেট লি🤡মিটেড এবং অস্ট্রিয়ার গ্লক জেস.এম.বি.এইচ সংস্থার মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে তিরাভাল্লুর জেলায় জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প করিডরের অন্তর্গত সিএমটি কারখানায় এই পিস্তল তৈরি শুরু হয়।
প্রথমে শুধুমাত্র সরকারকে সরবরাহ করতেই চুক্তি সই হয়েছিল। এবার ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে অসামরিক ক্ষেত্রেও গ♑্লক পিস্তল বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে হিস্দুস্তান ট🌊াইমস-কে জানিয়েছেন সংস্থার অন্যতম প্রধান অংশীদার জয়কুমার জয়রাজন।
মনে করা হচ𝓰্ছে, দেশের অসামরিক অস্ত্র বাজারে গ্লকপিস্তলের আবির্ভাব নতুন যুগের সূত্রপাত ঘটাবে।
জয়রাজন জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারী ও লকডা🉐উনের কারণে তাঁদের প্রকল্প ৬ মাস পিছিয়ে গিয়েছে। তবে এখন তাঁরা দ্রুত গতিতে কাজ চালাচ্ছেন বলেও তিনি জানান। প্রথম দফায় এই ৯ এমএম পিস্তল নিরাপত্তা বাহিনীকে সরবরাহ করলেও অসামরিক ক্রেতাদের জন্য .২২ এলআর, .৩৮০, ৩৫৭ সিগ. .৪০ ও .৪৫ ক্যালিবারের পিস্তল তৈরি হচ্ছে।
নটরাজন জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত কারখানা পরিদর্শনে চেন্নাইতে উড়ে এসেছিলেন গ্লক-এর সদস্যরা। এর পর দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আদিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়।ꦑ এই♔ দলের সদস্যরাই ১৯৮১ সালে গ্যাস্টন গ্লককে তাঁর প্রথম পিস্তল তৈরিতে সাহায্য করেছিল। বর্তমানে গ্লক-এর পলিমার ডবল ট্রিগার ডিজাইন অনুকরণ করে বেশ কিছু সংস্থা পিস্তল তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন নটরাজন।
উল্🥀লেখ্য, ভারতের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এখনও ১৯৮৪ সালের আগে আমদানি করা পুরনো বিদেশি হ্যান্ডগান বিক্রি করেন পরবর্তীকালে যেগুলির নকশা নকল করে দেশের একাধিক সরকারি অর্ডিন্যান্স কারখ🌠ানায় তৈরি করা হয়।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানে ভেঙে পড়া বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান থেকে গ্রেফতার হওয়া কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের কাছেও ছিল এই ৯ এমএম গ্লক ২৬ পিস্তল♒। তার আগে, ২০১৬ সালে পাঠানকোট সামরিক বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হানার মোকাবিলায় এনএসজি কম্যান্ডোদের হাতে দেখা গিয়েছে।