ইন্দোর-নাগপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে গত মঙ্গ🃏লবার ও বুধবার পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ। তাতে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে কিছু কৃষক পাথর ছুড়েছিলেন। তবে সেটা ভুলবশত ছিল। মোষ তাড়ানোর জন্য তাঁরা পাথর ছুড়েছিলেন। সেই পাথরের আঘাতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কাঁচ ফেটে যায়। তবে কৃষকদের শনাক্ত করতে পারেনি আরপিএফ। চিন্তামন স্টেশন এবং উজ্জয়নের মধ্যে টানা দু'দিꦐন এই পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: দৌড়ে বন্দে ভারত ধরতে গিয়ে𓆉 পড়ে গেলেন যাত্রী, রক্ষা RPF কর্মীর- ভিডিয়ো
মঙ্গলবার পাথরের আঘাতে দু’টি কোচের কাঁচ ভেঙে যায়। পাথর ছোড়ার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা। তবে কোনও যাত্রীর কোনও আঘাত লাগেনি। ইন্দোরের আরপিএফ অফিসার রাকেশ কুমার জানান, মঙ্গলবারের পাথর নিক্ষেপের অভিযুক্তদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরপিএফ এই ঘটনায় মামলা করেছে। তবে তিনি জানান, ‘বুধবারের ঘটনায় জড়িতদের আমরা শনাক্ত করে꧋ছি। তাঁরা কৃষক। কৃষকরা বলছেন, তাঁরা বন্দে ভারতে ঢিল ছোড়েননি। মোষের দিকে তাঁরা ঢিল ছুড়েছিলেন। ওই মোষগুলি রেললাইনের ওপর চলে এসেছিল। সেই কারণে তারা মোষগুলিকে তাড়ানোর জন্য এই কাজ করেছিল।’
তিনি বলেন, এখনও কোনও কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তাঁকে জরিমানা করে সত🦩র্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে একই ধরনের আরেকটি ঘটনায় একটি ট্রেনে ঢিল ছোড়ার জন্য এক মাতাল ধরা পড়েছিল।রতলাম ডিভিশনের পিআরও খেমরাজ মীনা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার ও বুধবার বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনও যাত্রী আহত হয়নি। আরপিএফ এই ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০৯১১ ইন্দোর-ভোপাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ৯ অক্টোবর ইন্দোর থেকে নাগপুর পর্যন্ত চালানো হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিন ধরে এই ট্রেনে অবিরাম পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। উজ্জ্বয়িনী সেকশনের চিন্তামন স্টেশন ও উজ্জয়নের মধ্যে ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়। এতে সি-৬ ও সি-৭ নম্বর কোচের কাচ ভ✅েঙে যাওয়ায় ভিতরে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সেই ঘটনায় আরপিএফ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই বিষয়ে♕, ট্রেন কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন, পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সত্ত্বেও আরপিএফ নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেনি। যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তারপরেই সামনে আসে আস༒ল ঘটনা।