নীরজ চৌহানOxfam India ও সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের অফিসে সাত মাস আগে সার্ভে চালিয়েছিল আয়কর দফতর। এবার সেই অক্সফ্য়াম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট লঙ্ঘনের দায়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সরকার।অক্সফ্যাম থেকে সিপিআরে নিয়ম ভেঙে অর্থ পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়ার পরেই এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।এদিকে অক্সফ্য়াম ইন্ডিয়া হল অক্সফ্যামের শাখা। তারা আদিবাসী, দলিত, মুসলিম, মহিলা, শিশুদের অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করে। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র এই এনজিওর FCRA লাইসেন্স ফের নবীকরণ করতে চায়নি।এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া তাদের তহবিলের টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছে। কিন্তু ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টে এটা করা যায় না। ২০২০ সালে এই অ্যামেন্ডমেন্ট আনা হয়েছিল। অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া তাদের ফান্ড অন্য এনজিওর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল।আধিকারিক জানিয়েছিলেন, আইটি সার্ভেতে ইমেল দেখে জানা গিয়েছে, অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া তাদের তহবিলকে অন্য সংগঠনের কাজে পাঠিয়ে দিচ্ছিল। সামাজিক কাজের জায়গায় তারা কমিশনের মাধ্যমে নানা কাজ করত। প্রায় ১.৫০ কোটি টাকার ফরেন ফান্ড তারা পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।OXFAM , CPR এর প্রতি আগে থেকেই নজর ছিল সরকারের। সেন্ট্রাল ফর পলিসি রিসার্চ( CPR) নামের ওই সংস্থার ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ থেকে আসা বিপুল অঙ্কের অর্থ সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করা সহ বিভিন্ন কারণে এই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল বলে খবর।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের মতে, প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে তারা একাধিক ফান্ডিং সংক্রান্ত নিয়মকে লঙ্ঘন করেছে। তার জেরেই এই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এদিকে সাসপেনশনের পরে তদন্ত চলতে পারে।CPR সেই ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করছে। মূলত পলিসি সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে এই সংস্থা কাজ করে। ২১ শতকে দেশের উপর যে ধরনের অর্থনৈতিক চ্য়ালেঞ্জ এসেছে তার মোকাবিলা কীভাবে করা সম্ভব তা নিয়েও গবেষণা করে এই সংস্থা। পলিটিকাল সায়েন্টিস্ট মীনাক্ষী গোপিনাথ এই সংস্থার চেয়ারপার্সন। তিনি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন।এদিকে এর আগে আয়কর দফতর সিপিআর সহ আরও দুটি সংস্থায় সমীক্ষায় নেমেছিল। অক্সফ্য়াম ইন্ডিয়া ও বেঙ্গালুরুর অপর এক সংস্থা IPSMF এর বিরুদ্ধেও এই সমীক্ষা চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত বিদেশ থেকে কী ধরনের অর্থ আসছে তা দেখার জন্য়ই এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল বলে খবর।এদিকে তারপর অক্সফ্য়াম ইন্ডিয়ার ফরেন ফান্ডিংকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এফসিআরএ লাইসেন্সকে আর রিনিউ করতে চায়নি কেন্দ্রীয় সরকার।