ফের বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে বিধ্বংসী আগুন। এবার কক্সবাজারে বালুখালিতে ১১ নম্বর ওক্যাম্পে রবিবার আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। উখিয়ার কক্সবাজারে এই আগুন। দমকল বাহিনী এলাকায় গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর। অন্তত শ খানের ঘর আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আতঙ্কে ঘর ছেড়়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে আগুনের সেই লেলিহান শিখা। একের পর এক বাড়িকে গ্রাস করছে সেই আগুন। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। ব্য়াপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
এর আগেও বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালিতে ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল রোহিঙ্গা ক্য়াম্প।সেবার অন্তত ৯ হাজার ঘর আগুনে পুড়ে যায়। হাজার হাজার রোহিঙ্গা ঘরছাড়া হন। আগুনের জেরে ছোটাছুটি করার সময় পড়ে গিয়ে অন্তত ৫০জন আহত হয়েছিলেন। সেবার আগুনে ৭জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে সেটা ছিল বেসরকারি সূত্রে খবর। বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে হতাহতের কোনও খবর প্রাথমিকভাবে জানানো হয়নি। সেবার আগুন নেভাতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। দমকলের পাশাপাশি আগুন নেভাতে সেনাকেও নামানো হয়েছিল। বালুখালি বলিবাজারে সেদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকার কꦐ্ষয়ক্ষতি হয় বলে খবর।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, সেবার হয়তো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছিল। তবে আগুনে প্রচুর টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। প্রশাসনের তরফে রোহিঙ্গাদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, একেবারে পাশাপাশি রয়েছে এই রোহিঙ্গাদের ঘরগুলি। একবার আগ☂ুন লাগলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেকারণেই দমকলকে আগুন নেভাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। সেবারও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় দমকলকে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে হাত লাগান।
এদিকে সব মিলিয়ে কক্সবাজারে মোট ৩৪টি রোহিঙ্গাদের শিবির রয়েছে। সমুদ্রের ধা🧸রে বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে এই শিবির। মায়ানমার থেকে আসার পরে তারা এই সমুদ্রের ধারেই কোনওরকমে আশ্রয় নিয়েছিল। পরিবার নিয়েই তারা ওখানে থাকে। ফের সেই আগুনের গ্রাসে চলে গেল রোহিঙ্গাদের শিবির।