আজ, শনিবার থেকে নয়াদিল্লিতে দু’দিনের জি–২০ সম্মেলনকে ঘির♏ে এখন সরগরম রাজধানীর মাটি। কিন্তু তার মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হল। এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনে তাক লাগাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের দরবারে নিজের নামডাক বাড়াতে ꦗবিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজের টেবিলেও রয়েছে বিশেষ চমক। এই শীর্ষ সম্মেলনের দিনগুলিতে খাবার পরিবেশন করা হবে বিশেষ ধরনের তৈরি পাত্রে। বিদেশি অতিথিদের খাবার পরিবেশন করা হবে সোনা–রুপোর টেবিলওয়্যারে। গোল্ড প্লেটেড থালা। পাত্রগুলিতে আছে ভারতীয় সংস্কৃতির আঁচ। আর সেই আঁচ আনতে গিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এই বিষয়টি আবার সামনে নিয়ে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। বিদেশি অতিথিদের খাবার টেবিলে ভারতীয় সংস্কৃতির আঁচ দিতেই এই ব্যবস্থা বলে সূত্রের খবর। পাত্রগুল❀িতে জয়পুর, উদয়পুর, বারাণসী এমনকী কর্নাটক শৈল্পিকতা বহন করছে। আবার খাবার পরিবেশনের জন্য তৈরি বিশেষ পাত্রগুলি সরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়াদিল্লির যে সমস্ত হোটেলে বিদেশি অতিথিরা থাকছেন সেখানে পাঠানো হয়েছে খাবার বলে সূত্রের খবর। কিন্তু আজ, শনিবার দেখা গেল ওই খাবার প্লেটে এমন একটা জিনিস রাখা হলജ যা ভারতের জাতীয় প্রতীককে সম্পূর্ণ অপমান করার সামিল। এমনই টুইট করেছেন সাকেত গোখলে।
ঠিক কী রয়েছে খাবার প্লেটে? এদিন বিদেশি অতিথিদের জন্য যে বিশেষ খাবার প্লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার মাঝখানে খোদাই করে রাখা হয়েছে জাতীয় প্রতীক বা ন্যাশানাল এমব্লেম। এই খবর চাউর হতেই তোলপাড় অবস্থা হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন🏅্দে। এই দেশের জাতীয় প্রতীক কিনা বিদেশিদের খাবার থালায়! এই ঘটনা আশ্চর্যজনক হলেও বাস্তবে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন সাকেত গোখলে। এটা জাতীয় প্রতীকের অপমান বলে মনে করছেন সাকেত গোখলে। আর সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তুলে ধরেছেন। আর তাতেই তাল কাটল জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনের। এই নিয়ে এখন দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী লিখেছেন সাংসদ? এই ঘটনাকে তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তুলোধনা করেছেন সাকেত গোখলে। এটা জাতীয় প্রতীকের অপমান বলে তিনি উল্লেখ করেছেন টুইটে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘জি–২০ সম্মেলনে বিদেশি অতিথিদের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে সোনা এবং রুপোর বাসনে। মো𓆏দী সরকার তা💖 করেছে। কিন্তু অপেক্ষা করুন এবং খুব কাছ থেকে সেই প্লেটে চোখ রাখুন। ভারতের জাতীয় প্রতীক সেই খাবার প্লেটে খোদাই করে বসানো হয়েছে।’ এটাকেই অপমানজনক বলেছেন সাকেত। জাতীয় প্রতীকের অপমান। কারণ জাতীয় প্রতীক দেওয়া থালায় বিদেশিরা এঁটো করে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। এতে কি দেশ গর্বিত হচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন।