গালওয়ান সংঘর্ষে মৃত জওয়ানের বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়ে বলে দাবি করেছে শহিদ জওয়ানের পরিবার। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযা🧸য়ী, বৈশালীর জনদাহায় সরকারি জমিতে শহিদ জওয়ানের জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পুলিশের দাবি, মালিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করা হয়েছিল।
২০২০ সালের পূর্ব লাদাখ সেক্টরের গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে শহিদ হন জয়কিশোর কিং। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। এএআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহিদ জওয়ানের ভাই নন্দকিশোরের অভিযোগ, তাঁর বাবাকে মারধর করেছে 🎃পুলিশ। তাঁকে গালিগালাজ করেছে। নন্দকিশোর নিজেও সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত বলে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গালওয়ানে স্বামীর💮 মৃত্যুর পর ছাড়েন শিক্ষকতা, এবার সেনার লেফটেন্যান্ট হলেন স্ত্রী
ওই সংবাদসংস্থা প্রতিবেদন অনুযায়ী, নন্দকিশোর বলেছেন যে 'ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) ম্যাডাম আমাদের কাছে এসেছিলেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দ🅰িয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম যে তাঁকে প্রয়োজনীয় নথি দেখাব। পরে আমাদের বাড়িতে আসেন স্থানীয় থানার পুলিশ ইনচার্জ। বাবাকে মারধরের পর গ্রেফতার করেন তিনি। ওঁরা আমার বাবার উদ্দেশ্যে গালিগালাজও করেন। আমিও সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত।' যে ঘ🐈টনার প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান তোলেন বলেও এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Galwan Clash: জখম চিনা জওয়ানের প্রাণ 🌳বাঁচানো💦 ভারতীয় মেডিকও শহিদ হয়েছিলেন গালওয়ান সংঘর্ষে!
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। বরং বেআইনিভাবে জমি দখল করা হয়েছিল বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, এসডিপিও মহুয়া দাবি করেছেন যে জনদাহায় হরিনাথ রাম ও সরকারি জমিতে একটি মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে গত ২৩ জানুয়ারি তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তারপর মূর্তির চারপাশে তুলꦿে দেওয়া হয় পাঁচিল। সেজন্য কোনওরকম অনুমতি চাওয়া হয়নি।
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনꦚুযায়ী, এসডিপিও বলেছেন যে ‘ওঁরা যদি চাই🧔তেন, তাহলে নিজেদের জমিতে মূর্তি তৈরি করতে পারতেন বা সরকারের থেকে জমি চাইতে পারতেন। তাহলে কোনও সমস্যা হত না। জবরদখলের জেরে জমির মালিকের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )