যোগীগড় উত্তর প্রদেশে এবার এক মহিলার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম। সেখানের গাজিয়াবাদে এক মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি দাবি করেন, খালিদ নামের এক যুবক, নিজের ধর্মীয় পরিচয় গ🐠োপন রাখতে তাঁর সঙ্গে দীপক নাম নিয়ে সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে এই ব্যক্তি মহিলাকে বলপূর্বক গোমাংস ভক্ষণ ও ধর্মান্তরিত করেন বলে অভিযোগ।
সদ্য ২০ জুলাই উত্তর প্রদেশের বিজয়নগর পুলিশ স্টেশনে মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত খালিদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করতে উত্তর প্রদেশ পুলিশের ২ টি দল রওনা হয়েছে। যে মহিলা এই অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাঁর দাবি, তাঁকে দিল্লির এক মসজিদে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করেন ওই অভিযুক্ত খালিদ। এছাড়াও খালিদ তাঁকে গোমাংস খেতেও জোর করেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও বিজয়নগর পুলিশ স্টেশনে খালিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ রয়েছে। মহিলার অভিযোগ, ২০২০ সালে ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিতি হয় তাঁর। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ তাঁদের পরিচিতি। এরপরই তাঁদের মেলামেশা শুরু হয়। জানা যায়, ওই ব্যক্তিই আগে তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। আর সেখানে নাম লেখা ছিল দীপক হিসাবে। এরপর সম্পর্ক এগোতে থাকে। পরে ৪ মাস বাদ থেকেই মহিলা জানতে পারেন যে ওই দীপক-নামধারী ব্যক্তির আসল পরিচিতি খালেদ চৌধুরী হিসাবে। মহিলার অভিযোগ, তাঁকে বহুবার ধর্ষণ করেছ🥀েন খালেদ। পরে ভিডিয়ো করে তাঁকেে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগও ওঠে।
মহিলার দাবি, লাগাতার ধর্ষণের জেরে গত সেপ্টেম্বরে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এরপরও ধর্ষণ চলে। পরে সেই গর্ভস্থ সন্তান মারা যায়। অভিযোগকারিনীর দ🎶াবি, বারবার তাঁকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন খালিদ। পরে দিল্লির নিজামুদ্দিন দরগায় তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেন, খালেদের চাপের জেরে। এছাড়াও মহিলার দাবি, ‘আমার জন্মদিনে আমার কোমরে জোর করে খালিদ তাঁর নাম ট্যাটু করিয়ে দেন।’ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে, গাজিয়াবাদ পুলিশ শুরু করে দিয়েছে তল্লাশি। একথা জানিয়েছেন খোদ গাজিয়াবাদ পুলিশের এসিপি নিমিশ পাটিল।