তাৎপর্যপ🔯ূর্ণ রায় দিল রাজস্থান হাইকোর্ট। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবাধিকার ভোগ করার বিষয়টি সকলের অধিকারের মধ্যে পড়ে। বিচারপতি অনুপ কুমার ধান্দ একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কীসের পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ সেটা এবার দেখে নেওয়া যাক।
আসলে এ🍨ক ব্যক্তি জন্মসূত্রে নারী ছিলেন।পরে তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করেন। জেন্ডার আইডেনটিটি ডিসঅর্ডার হচ্ছিল ওই নারীর। এরপর তিনি সার্জারির মাধ্যমে পুরুষে পরিণত হন। পরে তিনি এক মহিলাকেও বিয়েও করেন। এমনকী দুই সন্তানের বাবাও হয়ে যান।
আবেদনকারী আদালতে জানিয়েছেন, সার্ভিস রেকর্ডে♕ যত🌳ক্ষণ না তাঁর নাম ও লিঙ্গের পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করা হচ্ছে ততক্ষণ পেশাগত ক্ষেত্রে তিনি যে সুবিধা পান সেটা তাঁর পরিবারের লোকজনের পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। এদিকে সার্ভিস রেকর্ডে ওই ব্যক্তি নিজেকে পুরুষ হিসাবেই দাবি করে আবেদন করেছিলেন।
এদিকে হাইকোর্ট Transgenders Persons ( Protection of Rights) Act 2019 এর ক🌳থা উল্লেখ করে। যেখানে রূপান্তরকামীদের সমতা ও শ্রদ্ধা জানানোর কথা বলা হয়।
অন্যদিকে ওই ব্যক্তির সাবমিশনকে অস্বীকার করে রাজ্যের তরফে জা🌼নানো হয়, ওই ব্যক্তিকে মহিলা হিসাবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি সেই সময় লিঙ্গ হিসাবে মহিলাই লিখেছিলেন। তবে এখন লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা বললে তাঁকে সিভিল কোর্ট থেকে💟 এটা নিতে হবে।
তবে সব দিক বিচার করে আদালত জানিয়েছে, লিঙ্গ পরিচিতিটা কোনও ব্যক্তির একেবারে প্রাথমিক ও জীবনের মৌলিক দিক।আদালতের পর্যবেক্ষণ, একটা সময় ছিল যখন মানুষ লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য জিআরএস করতে চাইতেন না। কারোর লিঙ্গগত পরিবর্তনের জন্য তিনি ✃মানবাধিকারের অধিকার ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন না।
এমনকী কোর্ট বেদের কথাও উল্লেখ করেন। যেখানে নরকে পুরুষ ও নারীকে প্রকৃতি বলে উল্লেখ করা হত। আর তৃতীয়♐ লিঙ্গ বা তৃতীয় প্রকৃতি বর্তমানে উল্লেখ করা হয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে,বর্তমানে সবকিছু যে ঠিকঠাক ভাবে চলছে এমনটা নয়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা তাঁদের পরিচিতি পাওয়ার জন্য লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আদালত জানဣিয়েছে ওই ব্যক্তি সার্টিফিকেটের জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন করতে পারেন। সেই সার্টিফিকেট পাওয়ার পরꦦেই কোনও ব্যক্তি তাঁর অফিসের নথিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের ব্যাপারে আবেদন করতে পারেন।