বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, তিন শতাধিক মানুষ যাঁরা খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে ফেলেছিলেন ফের তাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরে এসেছেন। মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া গ্রামের ঘটনা। তবে খ্রীষ্টান সংগঠন এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে গত ডিসেম্বর মাসে চিত্রকূট এলাকায় উপস্থিত হয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবৎ জানিয়েছিলেন হিন্দু সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে। ঘর ওয়াপসি নিশ্চিত করতে হবে। এরপরই বিশ্বহিন্দু পরিষদ একেবারে উঠেপড়ে লাগে। তিনদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে তারা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা আজাদ প্রেম সিং দামোর, গত ৬ মাস ধরে খ্রীষ্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছেন। তাঁর সাফ কথা, এই লোকগুলো অবৈধভাবে খ্রীষ্টধর্মে নিয়ে চলে যাচ্ছে। বাইক, স্বাস্থ্য পরিষবা, ভালো শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে ওরা ধর্মান্তকরণ করাচ্ছে। তবে আমরা বলছি আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিরিখে আমরা ট্রাইবালের বিশেষ স্ট্যাটাস পেয়েছি। সরকার আমাদের অনেক সুবিধা দিচ্ছে। যদি আমরা ধর্ম ও ঐতিহ্য ত্যাগ করি তবে পরবর্তী প্রজন্মকে ভুগতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, চিত্রকূটে যে মহাকূম্ভ হয়েছিল সেখানে আমরা শপথ নিয়েছিলাম আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করব। যারা স্বেচ্ছায় ধর্ম বদলেছেন তাদের আমরা চাপ দিচ্ছি না। কিন্তু অবৈধ ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। রাকেশ বড়ুয়া নামে এক গ্রামবাসী বলেন, আমরা সকলকে বুঝিয়ে ধর্মত্যাগ করে তোমরা পূর্বপূরুষদের অপমান করছ। হিন্দু ধর্মে ফিরে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ভিএইচপি বুঝিয়েছে আমাদের সরকারি সংরক্ষণ চলে যাবে। সেকারণে আবার ফিরে এলাম। তবে খ্রীষ্টান ডায়োসিসের পিআরও মারিয়া স্টিফেন বলেন, ওদের খ্রীষ্টধর্মের প্রতি বিশ্বাস ছিল। কিন্তু ধর্মবদল করেননি। এখন সংরক্ষণ চলে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘর ওয়াপসি করানো হচ্ছে।