বাংলার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু বঙ্গবাসীর একটাই প্রশ্ন ফের কি সংঘাতের আবহ তৈরি হবে রাজ্যে? অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কথা। তবে এনিয়ে মুখ খুলেছেন সিভি আনন্দ বোস নিজেই।সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে টেলিফোনে তিনি জানিয়েছেন, আমি যাবতীয় দ্বন্দ্বের একটা সমাধান চাই সঠিক পথে। কারণ সব সমস্য়ার সমাধান আছে। সব পক্ষকে একজায়গায় নিয়ে আসতে চাই। সংবিধান চায় রাজ্যপাল রাস্তাটা জানবেন, পথ দেখাবেন আর সেই পথে যাবেন।কোন পথে হবে সংঘাতের অবসান? রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে রামধনুর সেতুবন্ধন করবেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, উভয়ই( রাজভবন আর রাজ্য সরকার) দুটি ইনস্টিটিউশন। সংবিধান প্রণেতারা কোনও সংঘাত চাইতেন না। রাজ্যপালের উদ্দেশ্য় পরিষ্কারভাবে সংবিধানে উল্লেখ করা আছে। রাজ্যপাল রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে রামধনু সেতু হিসাবে কাজ করবেন।আর সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এগুলিকে ঠিক সংঘাত বলে মনে করি না। এটা মতামতের ভিন্নতা। দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা গণতন্ত্রের ভিন্নতা। মতামতের ভিন্নতা গণতন্ত্রের দুর্বলতা নয়, এটা গণতন্ত্রের শক্তি।তিনি বলেন, আমাদের মতো বহুমাত্রিক সমাজে মতামতের আদানপ্রদান থাকা দরকার। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এর আগে বিরোধীরা অভিযোগ তুলতেন রাজভবন কার্যত বিজেপির সম্প্রসারিত পার্টি অফিস হিসাবে কাজ করে। এনিয়ে বর্তমান রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, অভিযোগ অভিযোগই হয়, ফ্যাক্ট কী দেখতে হবে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী।