শনিবার জিএসটি কাউন্সিল মিলেটের আটার খাবার থেকে জিএসটি একধাক্কায় কমিয়ে দিল। আগে যেটা ছিল ১৮ শতাংশ। সেটাই এবার একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫ শতাংশে। মূলত পুষ্টিকর খাবার যাতে আমজনতার কাছে সহজেই পৌঁছতে পারে সেকারণে এই উদ্যোগ। মূলত বাজরার উপর জোর দিতে চাইছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এই বাজরার পুষ্টিগুণও যথেষ্ট। তবে এবার সেই বাজরার আটা থেকে জিএসটি একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হল বলে খবর। মূলত বাজরার আটা যথেষ্ট পুষ্টিকর। তবে এবার এই আটার প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়বে। আর বাজরার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই বাজরার চাষও বাড়বে।সেই সঙ্গেই গুড়, ডিসটিলড অ্য়ালকোহল( Distilled Alcohol) বা পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত অ্যালকোহল থেকে জিএসটি কর লাঘব করা হয়েছে।মূলত বর্তমানে মানুষ গমের আটাই বেশি খান। তবে এবার বাজরার উপর গুরুত্ব দিতে বলছে সরকারও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, বাজরা থেকে যে আটা তাতে জিএসটি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ গুড়ে জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এতে আখ চাষিদের আখেরে লাভ হয়েছে। এদিকে দেশের স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মিলেট। বিগত দিনে মানুষ বাজরার বিভিন্ন খাবার খেতেন। তবে পরবর্তীতে এর ব্যবহার ক্রমেই কমতে থাকে। তবে এবার মিলেট থেকে তৈরি আটাতে জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত। এদিকে ২০২৩ সালটি মিলেট বছর বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকার মিলেটের ব্যবহার বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কম জলেও মিলেটের উৎপাদন হয়। কম সার ও কীটনাশকেও মিলেটের ফলন হয়।ভারতের তরফে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় মিলেট নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ৭২টি দেশ সেটা মেনে নেয়। ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ বলে উল্লেখ করা হয়। সরকারও কার্যত মিলেটকে জনপ্রিয় করতে একেবারে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে।এবার মিলেটের আটা থেকে জিএসটি কমিয়ে দেওয়া হল। এতে মিলেটের আটার দামও কমতে পারে। সেক্ষেত্রে এবার মিলেট কতটা জনপ্রিয় হয় সেটাই দেখার।সেই সঙ্গেই গুড়, ডিসটিলড অ্য়ালকোহল( Distilled Alcohol) বা পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত অ্যালকোহল থেকে জিএসটি কর লাঘব করা হয়েছে। এক্সট্রা নিউট্রাল অ্যালকোহল থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, যদি রাজ্য এতে কর বসাতে চায় তবে তা করতে পারে, যদি ছাড়তে চায় তবে ছাড়তে পারে। জিএসটি কাউন্সিল এতে কিছু করছে না, তবে কর আরোপের অধিকার থাকছে। এটা রাজ্যের উপর নির্ভর করছে।