যাঁদের হাত রাম ভক্তদের রক্তে রাঙানো, তাঁদের থেকে পরামর্শ চাই না। রাম মন্দিরের জমির লেন▨দেন নিয়ে তোলা বিরোধীদের কারচুপির অভিযোগকে এভাবেই উড়িয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তিনি এদিন জানান, ঘটনার তদন্তে নেমেছে রাম মন্দির তৈরির দায়িত্বে থাকা ট্রাস্ট। কেশব প্রসাদ মৌর্যের স্পষ্ট বক্তব্য, কেউ যদি এই ঘটনায় দোষী হয়ে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবেই।
উল্লেখ্য, বেআইনিভাবে জমি ক𝐆েনার অভিযোগ উঠেছে রামমন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে। অযোধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক পবন পাণ্ডে দাবি করেন, রাম জন্মভূমির জন্য ২ কোটি দামের জমি কেনা হয়েছে ১৮.৫ কোটি টাকায়। তাঁর অভিযোগ, এই প্রতারণায় যুক্ত রয়েছে💦ন বিজেপি নেতারা আর ট্রাস্টেরই কিছু সদস্য।
পবন পাণ্ডে এদিন সাংবাদিকদের বলেন, 'এ বছরের ১৮ মার্চ রবি মোহন তিওয়ারি আর সুলতান আনসারি 💯ঠিক ৭টা ১০ মিনিটে ২ কোটি ট🐬াকায় একটি জমি কেনেন। ৭টা ১৫ মিনিটে ওই জমির দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৮.৫ কোটি। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাইয়ের কাছে বেচে দেন ১৮.৫ কোটি টাকায়। একই জমি কেনা আর বিক্রি করার দু'টি দলিলেই সাক্ষী ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র, অযোধ্যার মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায়।'
এদিকে আপ-নেতা সঞ্জয় সিংও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, 'এই লেনদেনে প্রতি সেকেন্ডে জমির দাম বেড়েছে সাড়ে ৫ 🥀লক্ষ টাকা। এত তাড়াতাড়ি জমির দাম বাড়তে পারে এমন কোনও জায়গা আছে দুনিয়ায়? তবে এটা ভগবান রামের জন্মভূমিতেই হল।' এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিবিআই ও ইডি-র তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। তবে, অভিযুক্ত ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন।