আইসক্রিমে কাটা আঙুল খেতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছে মানুষ। এমন ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তারপরও নানা ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনও টিকটিকি, কখনও আরশোলা এসব তো লেগেই আছে। যা খাবারের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে বিনামূ🥂ল্যে। এবার চিপসের প্যাকেটে পাওয়া গেল মরা ব্যাঙ। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমন ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছে। আর সেটা উদ্ধার হল যখন অর্ধেকটা চিপস খাওয়া হয়ে গিয়েছে। নামী সংস্থা চিপসের প্যাকেটে মরা ব্যাঙ পাওয়ার ঘটনায় তোলাপড় কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ছোটাছুটি শুরু করেছে পুরসভা। এমনকী ওই ব্যাচের সব ൲প্যাকেটগুলি পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছেন পুরসভার অফিসাররা। ঘটনাস্থল গুজরাটের জামনগর।
চিপসের সিল করা প্যাকেটে মরা ব্যাঙ এল কী করে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে গুজরাট জুড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, জামনগরের পুষ্করধাম সোসাইট🐻ির বাসিন্দা হলেন জেসমিন প্যাটেল। তাঁর খিদে পেয়ে যেতেই একটি দোকান থেকে বালাজির একটি চিপসের প্যাকেট কিনেছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে সেই চিপসের প্যাকেট কেনেন তিনি। তারপর অর্ধেকটা খেয়ে চিপসের প্যাকেট রেখে দেন জেসমিন। সুতরাং বাকিটা রাখাই ছিল তাঁর বাড়িতে। আজ, বুধবার সকালে যখন আবার চিপসের প্যাকেটটি খোলেন জেসমিনের মেয়ে তখনই চিপসের মধ্যে দেখতে পান একটি মরা ব্যাঙ পড়ে রয়েছে। যা আগে খেয়াল করেননি জেসমিন।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ যেতে একাধিক স্পেশাল ট্র♈েন বাড়াল রেল, সারাবছর কলকাতা থেকে মিলবে পরিষেবা
তাঁর মেয়ে গোটা বিষয়টি নজরে নিয়ে আসে মায়ের। তাতে বাড়ির মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এই ঘটনা দেখে আর কালবিলম্ব করেননি তিনি। তৎক্ষণাৎ তিনি জামনগর পুরস🧸ভার খাদ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জেসমিনের ফোন পেয়ে চমকে ওঠেন পুরসভার খাদ্য বিভাগের অফিসাররা। দ্রুত তাঁরা জেসমিনের বাড়িতে পৌঁছন পুরসভার অফিসাররা। তদন্ত করে পুরসভা জানতে পারে বিষয়টি সত্যি ঘটেছে। এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই চিপসের প্যাকেটটি পরীক্ষার জন্য় নিয়ে যান তাঁরা। সঙ্গে একই ব্যাচের অন্য প্যাকেটগুলিও বাজেয়াপ্ত করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
এই চিপস কোনও শিশুর পেটে গেলে তা থেকে ভয়ঙ্কর অসুস্থতার ঘটনা ঘটতে পারত। জেসমিন য♓ে প্যাকেটটি রেখেছিলেন সেটা খেতেই গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। মরা ব্যাঙ চোখে পড়ায় বিষয়টি সেখানেই থেমে যায়। না হলে হিতে বিপরীত হতো। আর চিপসের প্যাকেট যে কোম্পানির সেই বালাজি ওয়েফারের ম্যানেজার জয় সচদেব এক বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্ল্যান্টটি স্বয়ংস্ক্রিয়। চিপসে যদি একটি পচা আলুও থাকে, তাহলে সেটা সরিয়ে ফেলা হয়। প্যাকেটে মরা ব্যাঙ থাকার বিষয়টি মেনে যাচ্ছে না। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করব।’