হজ করতে কয়েক লক্ষ মানুষ এসেছিলেন মক্কা মদিনায়। কিন্তু আরবের এই দেশ কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল। কারণ ৫২ ডিগ্রির তীব্র তাপপ্রবাহে হজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬৪৫ জন পূণ্যার্থীর। আর তার জেরে মর্গে তিল ধারনের জায়গা নেই। সুতরাং মৃতদেহ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ বলে খবর। এখানে প্রবল গরমে মৃত্যুর পাশাপাশি পদপিষ্ট হয়ে বেশ কিছু পূণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৩০০ জনের উপরে মিশর থেকে এসেছিলেন। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে🔥 সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে খবর। কূটনীতিকদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এএফপি। আরবের দুই কূটনীতিক জানান, বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে প্রবল গরমের জেরে।
এদিকে দেশের সবচেয়ে বড় মর্গ আল মুয়াইজেম। সেখানে সারি সারি মৃতদেহের ভিড়ে 🦋মর্গ কার্যত গুদামে পরিণত হয়েছে। এখন সেখানে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গত ৩০ বছরে হজ যাত্রায় গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা কম ঘটেনি। কখনও পদপিষ্ট হয়ে, কখনও তাঁবুতে আগুন লেগে হজ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এই বছরের হজ যাত্রা শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। তখন থেকেই তাপমাত্রা তুমুল মাত্রায় বেড়েছে। কূটনীতিকরা আরও জানান, কমপক্ষে ৬০ জন জর্ডানের মৃত্যু হয়েছে। যা মঙ্গলবার আম্মানের দেওয়া সরকারি সংখ্যার ৪১ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সিট তো আমরা জিতে বসেই আছি’, মনোনয়ন জমাꦡ দ🌊িয়েই আত্মবিশ্বাসী বাগদার মধুপর্ণা
অন্যদিকে সৌদির আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গতꦏ সোম🀅বার মক্কার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল প্রায় ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে প্রায় দু’হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অনেকেরই আর হজে গিয়ে ফেরা হল না। এই মৃত্যুর মধ্যে ৬৮ জন ভারতীয় রয়েছে। আর মোট মৃত্যু এখনও পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৬৪৫ জন। সংবাসংস্থা এএফপি এই তথ্য দিয়েছে। গত বছর ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এখানে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ বাসিন্দাই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার। অসুস্থ হয়ে পড়ার সংখ্যাও প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। এমনকী বহু পুণ্যার্থী নিখোঁজ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাপের জেরে দু’হাজারের মতো মানুষ চিকিৎসাধীন।