এলএন রাওহিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন সুখবিন্দর সিং সুখু। কংগ্রেসের লড়াকু নেতাই এবার মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন। মুখ্য়মন্ত্রী সুখুকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, শ্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। হিমাচল প্রদেশের উন্নতির ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে সবরকম সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি অঙ্গরাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছেন। যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এই বার্তা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এদিনই সিমলাতে রাজ্যের ১৫তম মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তিনি। বয়স ৫৮ বছর। চারবারের বিধায়ক। কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি। তিনিই এবার বসলেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে। এর আগে হামিরপুর জেলা থেকে বিজেপির প্রেম কুমার ধুমাল মুখ্য়মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার ওই জেলা থেকেই মুখ্য়মন্ত্রী হলেন সুখবিন্দর সিং।এবার হিমাচল প্রদেশ হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত মাটি কামড়ে লড়াই করেছেন এখানে। তবুও ৪০টি আসনে জিতে এখানে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি।এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে উল্লাসে ফেটে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। রীতিমতো বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ উচ্ছাসে মেতে ওঠেন কংগ্রেস কর্মীরা। সিমলাতে এদিন তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রমুখ।হিমাচল প্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা এবার ১০টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেগুলি পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা স্বচ্ছ ও সৎ সরকার উপহার দেব।