হিচামলপ্রদেশের ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন। এমনিতেই হিচামলে কংগ্রেসের সরকারের টলমল অবস্থা। এই আবহে বিক্রমাদিত্যর পদত্যাগে আরও চাপে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে সুখুর বিরুদ্ধে বিক্রমাদিত্য অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী নাকি বিধায়কদের উপেক্ষা করেন। এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্রকেও অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিক্রমাদিত্য। এদিকে এই সবের মাঝে আস্থা ভোটের দাবিতে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লার সঙ্গে দেখা করে এসিছেলন বিজেপির বিধায়করা। তাঁরা কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের দাবি জানান রাজ্যপালের কাছে। এরপরই বিধানসভা থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর সহ ১৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্দ করা হয়। (আরও পড়ুন: 🥂আধার বিতর্কের মাঝে বঙ্গ BJP-তে অক্সিজেন, বঙ্গে মোদীর আগমনের সঙ্গেই চালু হবে CAA?)
আরও পড়ুন: 🐭কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী, 'বিকল্প রাজনীতির' পথিক এবার কোন পথে?
🐎অবশ্য এসবের মাঝে গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যসভার নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কংগ্রেস সরকারে থাকার অধিকার হারিয়েছে। এদিকে হিমাচলে সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার বাঁচাতে শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। জানা গিয়েছে, ভূপিন্দার সিং হুড্ডা এবং ডিকে শিবকুমারকে সেখানের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে বিক্রমাদিত্যর পদত্যাগ অবশ্য কংগ্রেসের কাছে জোর ঝটকা। এর আগে হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিক্রমাদিত্য দাবি তুলেছিলেন যাতে তাঁর মাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ড সুখুকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। সুখুর ক্যাবিনেটে মন্ত্রী হয়েছিলেন বিক্রমাদিত্য। তবে দু'জনের সম্পর্ক যে মধুর ছিল না, তা সামনে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: 🔯শ'য়ে শ'য়ে কর্মী ছাঁটাই অনলাইন ভ্রমণ সংস্থার, কারণ জানলে খুশি হবেন বিমানযাত্রীরা
ꦰপ্রসঙ্গত, গতকাল হিমাচলপ্রদেশে রাজ্যসভার একমাত্র আসনের নির্বাচনে টানটান উত্তেজনা দেখা যায়। উল্লেখ্য, ৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল বিধানসভায় সরকার পক্ষে আছেন ৪৩ জন বিধায়ক। এর মধ্যে কংগ্রেস বিধায়ক ৪০ জন, এবং নির্দল বিধায়ক ৩ জন। অপরদিকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা হল ২৫। এই আবহে রাজ্যসভার একমাত্র আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত ছিল অঙ্কের নিরিখে। তবে ক্রস ভোটিংয়ে হিমাচলের থেকে 'নিশ্চিত' রাজ্যসভা আসনটি হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। দাবি করা হচ্ছে, শাসক গোষ্ঠীর ৯ জন বিধায় বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ♑AI থেকে বাঁচতে UPSC-র ফর্ম পূরণের নিয়মে বড়সড় রদবদলের সিদ্ধান্ত, জানুন বিশদে
♛হিমাচল বিধানসভার 'ম্যাজিক ফিগার' হল ৩৫। এই আবহে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ৩৪ ভোট পড়েছে রাজ্যসভা নির্বাচনে। এই আবহে বিজেপি যদি 'অপারেশন কমল'-এর মাধ্যমে আরও এক বিধায়ককে দলে টানতে পারে, তাহলে সুখুর সরকার পড়ে যেতে পারে। তবে আক্ষরিক অর্থে এই কাজটা অতটাও সহজ নয়। কারণ সেই ক্ষেত্রে ৭ কংগ্রেস বিধায়ককে বহিষ্কার করা হতে পারে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য। আর তা না হয়ে যদি বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা পদত্যাগও করেন, তাহলেও আরও কয়েকজনকে নিজেদের দিকে টানতে হবে বিজেপিকে। তবে বিগত বছরগুলিতে একর পর এক রাজ্যে এই একই ঘটনা ঘটেছে। তাতে বিজেপি হিমাচলেও এমনটা করতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।