এলএন রাওহিমাচলে পালাবদল হয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। এবার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সুখবিন্দর সিং সুখু। এবার জেনে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য।অনেকের মতে কার্যত বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর মতোই তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন তিনি। পুরোদস্তুর ফাইটার।ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছিলেন সুখবিন্দর। চারবারের বিধায়ক। এবার মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন তিনি। তবে এই লাইনে বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিংও ছিলেন। কিন্তু সকলকে টপকে সামনে এসেছেন সুখবিন্দর সিং।বয়স ৫৮ বছর। বাবা ছিলেন রোড ট্রান্সপোর্টের ড্রাইভার। প্রথম জীবনে দুধের কাউন্টার চালাতেন। কিন্তু জানতেন লড়াইটা কীভাবে করতে হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ টানা দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। সেই সময় প্রায়ই বীরভদ্র সিংয়ের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের কথা সামনে আসত।আর সেই পুরানো বিবাদই যেন উসকে উঠল এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারকে সামনে রেখে। নাদাউনের বিধায়ক। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। রবিবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন।দলের অন্দরের আলোচনা, এবার প্রথম থেকেই হাই কমান্ডের গুডবুকে ছিলেন তিনি।তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকেই এবার টিকিট পেয়েছিলেন। কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন তিনি সংগঠনকে অত্যন্ত শক্ত ভিতের উপর বসেছিলেন। কর্মীদের সঙ্গেও নিবিড় সম্পর্ক তাঁর।কংগ্রেস অনুমোদিত জাতীয় স্টুডেন্টস অ্য়াসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে তিনি সভাপতিও হয়েছিলেন। হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও এলএলবি করেন। সিমলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলরও হয়েছিলেন তিনি। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি প্রথমবার নাদাউন কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। পরে ২০০৭ সালে ফের তিনি ওই আসনে জেতেন। পরে ২০১২ সালে তিনি পরাজিত হন। এরপর ২০১৭, ২০২২ সালে ফের জয়ী হন।