উৎপল পরাশর
আন্তর্জাতিক সীমান্ত! মাঝে একটি ব্রিজ। তার নীচে দিয়ে বইছে তিয়াউ নদী। জুনের বৃষ্টিভেজা দিন আর সেই ব্রিজ পেরিয়ে শয়ে শয়ে স্কুল পড়ুয়া রোজ চলে আসছে ভারতের মাটিতে। এখানকার স্🎀কুলেই তাদের পড়াশোনা। সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামের চম্পাই জেলাতেই তাদের স্কুল। গোটা মায়ানমার যখন রাজনৈতিক অশান্তির জেরে অস্থির তখনও এভাবেই স্কুলে এসেছে পড়ুয়ারা।
মায়ানমারের এক মা চিনপুই জানিয়েছেন, অস্থিরতার জেরে খাওমাইয়ের স্কুল এতদিন বন্ধ ছিল।তবে আমার মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাক এটা আমি চাইনি। সেকা♚রনে জোকহাওথার সেন্ট জোসেফ স্কুলে মেয়েকে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলাম।
ব্রিজের কাছে বড় লোহার গেট। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সেই গেট খোলা থাকে। মিজোরামের পুলিশ স্কুল ব্যাগ কাঁধে মায়ানমারের স্কুল পড়ুয়ারা এ༒দেশে ঢুকলে বাধাও দেন না। একটা কাস্টমস অফিসও রয়েছে কাছেই। সেটাও ওই সময়টাতে কার্যত ফাঁকাই থাকে। আর ৯টা বাজলেই বর্ডারের লোহার গেটও লোহার চেন দিয়ে টেনে দ𒆙েওয়া হয়। এটাই প্রায় রোজকার ছবি।
মিজোরামের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কতজন পড়ুয়া মায়ানমার থেকে ভারতে আসে তার কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা বলত🃏ে পারব না। কোনও কোনও দিন ৫০০জনও চলে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩৯৬জন।
মিজোরামের অন্তত ৯টি সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে তারা পড়াশোনা করে। এদিকে ২০১৮ সালের মে মাসে ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে ফ্রি মুভমেন্ট চুক্তি হয়েছিল।সীমান্ত সংলগ্ন ট্রাইবাল অধিবাসীরা ভিসা ছাড়াই দুদেশের ১৬ কিমি পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। চলতি মাসে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিনিধি ওই এলাকায় গিয়ে দেখেন, একজন পুলিশকর্মী গুনে দেখছেন কতজন আসছে মায়ানমার থে🌌কে।
মিজোরামের একটি বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, মায়ানমারের শরনার্থীর মওতো যারা এখনও ভারতের আসেনি তারাও স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। অন্যান্যদের মতোই তাার ফি দিয়ে দেয়।