প্রেমের টানে সন্তানদের নিয়ে ভারতে চলে এসেছেন পা🌳ক বধূ সীমা হায়দার। এরপর বিয়েও করেছেন ভারতীয় যুবক সচিন মীনাকে। কিন্তু তারপরেও জীবন যে একেবারে মসৃন হয়ে গিয়েছে তেমনটা নয়। এবার তাঁর পাকিস্তানি স্বামী ভারতের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে খবর। সীমার পাকিস্তানি স্বামীর নাম গুলাম হায়দার। মোমিন মালিক নামে এক আইনজীবীর মাধ্য়মে তিনি নয়ডার আদালতে মামলা করেছেন বলে খবর। সীমা ও তার বর্তমান স্বামী সচিন মীনা🌠র বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি।
গুলামের আইনজীবী ১৫৬(৩) ধারায় মামলা করেছেন। এই ধারার মাধ্যমে তদন্তেরꩲ নির্দেশ দেওয়া যায়।
পাবজি খেলতে গিয়ে সচিনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমা। এমনটাই দাবি করা হয়। এরপর সচিনে🌠র প্রেমে হাবুডুবু খান সীমা। এরপর পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসার সিদ্ধান্ত। এরপর একেবারে চার সন্তানকে নিয়ে তিনি অবৈধ রুটে ভারতে চলে আসেন। এরপর তিনি সচিনকে বিয়েও করেন। কিন্তু সীমার প্রাক্তন স্বামী ইতিমধ্যেই ভারতের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপরই এবার মামলা করলেন তিনি।
তাঁর আইনজীবীর দাবি, সীমা গুলামের কাছ🎀 থেকে ডিভোর্স না নিয়েই এইসব করছেন। সেক্ষেত্রে যেহেতু ওই মহিলা ডিভোর্স নেননি সেক্ষেত্রে এই বিয়ে পুরো অবৈধ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
ওই আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন যে সীমা গুলাম হায়দারকে তার স্বামী হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন জামিন পাওয়ার জন্য। তাঁকে যখন অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন তিন🔜ি এই দাবি করেছিলেন। আবার সেই সীমাই প্রকাশ্যে বলছেন সচিন তার স্বামী। এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে? কারণ তিনি তার আগের স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স নেননি। তারপরেও কীভাবে তিনি ওই দাবি করতে পারেন!
ওই আইনজীবীর দাবি, ১৮ এপ্রিলের মধ্য়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নয়ডার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত গত বছর নয়ডা পুলিশ হরিয়ানার বল্লভগড় থেকে সচিন🍷 ও সীমাকে গ্রেফতার করেছিল। গত বছরের ৩ জুলাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ফরেনার্স অ্যাক্টের সেকশন ১৪ অনুসারে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। আইপিসি সেকশন ১২০ বি অনুসারে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ৭ জুলাই তারা জামিন পেয়েছিলেন। এদিকে সচিনের বাবাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। তবে গুলামের আইনজীবীর দাবি, সীমা আগ♐ের স্বামীর থেকে ডিভোর্স নেননি। তারপরেও তিনি সচিনের সঙ্গে থাকেন।