কথা বলার সময় তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ তুলে নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা🌺 বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে দিল্লিতে যে বৈঠক চলছে, সেখানে বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বেশি-বেশি সময় দেওয়া হচ্ছিল। অথচ তাঁকে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেজন্যই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন বলে জ🌊ানান মমতা। তাঁর বক্তব্য, আজ নীতি আয়োগের বৈঠকে হল, তাতে শুধু তাঁকে অপমান করা হয়নি। অপমান করা হয়েছে সমস্ত বিরোধী-শাসিত রাজ্যকে। আর ফের প্রমাণিত হয়ে গেল যে বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে। যদিও মমতার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
মমতা কী বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাকে যে লাগাতার ‘বঞ্চনা’ করা হচ্ছে, সেটা নিয়েই মুখ খোলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘(আমি ওদের বলেছি যে) আপনাদের আমি পরিষ্কারভাবে বলছি যে বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন। আপনারা বাংলার সমস্🍨ত উন্নয়নের প্রজেক্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনারা কোনও বিরোধী দলের রাজ্যকে কোনও সুযোগ দেন না। তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের (টাকা) বন্ধ রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বন্ধ। সমস্ত কিছু বন্ধ করে রেখেছেন। এমনকী খাদ্যের ভর্তুকির টাকাও দেন না।’
'এটা অপমান', তুমুল ক্ষুব্ধ মমতা
মমতা দাবি করেন যে তিনি সেইসব 'বঞ্চনা' নিয়ে কথা বলছিলেন, সেইসময় তাঁর মাইকটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেজন্যই ওয়াক-আউট করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। আর বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের সামনে রীতিমতো ক্ষোভের সুরে মমতা বলেন, ‘একটুখানি বলার পরই আমার 🏅মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল। আমি বললাম যে কেন বন্ধ করলেন?’
‘আমি এসেছি, খুশি থাকা উচিত আপনাদের’
মমতা আরও বলেন, ‘(আমি বলি যে) আমি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছি। সেটার জন্য আপনাদের আনন্দিত বোধ করা উচিত। সেটা না করে নিজের দলের (মুখ্যমন্ত্রীদের) বেশি সময় দিচ্ছেন। বিরোধীদের মধ্যে শুধুমাত্র আমি আছি। আর আপনারা আমার মাইক বন্ধ করে দি﷽লেন! আপনারা আমার মাইক বন্ধ করে দিচ্ছেন। আপনাদের এই বঞ্চনা আমি মানি না। তাই মনে রাখবেন, আমি চললাম।’