ভারতীয় বায়ুসেনার একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙে পড়ল হায়দরাবাদে। এই বিমান দুর্ঘটনার জেরে বায়ুসেনার দুই পাইলটের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে কোনও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বা অসামরিক কোনও ব্যক্তি নিহত বা আহত হননি। এদিকে কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এই প্রশিক্ষণ বিমানের ভেঙে পড়ার নেপথ্যের কারণ বের করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বায়ুসেনা। (আরও পড়ুন: ফাꦐরাক্কায় রেল দুর্ঘটনা, উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষ, আগুন লাগল ইঞ্জিনে)
জানা গিয়েছে,🔯 দুই পাইলট বায়ুসেনার এই প্রশিক্ষণ বিমানে করে টেকঅফ করেন সকালে। এরপর তেলাঙ্গানার ডিন্ডিগুলে অবস্থিত বায়ুসেনা অ্যাকাডেমির কাছেই সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে সেই বিমানটি। সেই বিমানে সেই সময় একজন ক্যাডেট ছিলেন এবং একজন প্রশিক্ষক ছিলেন। দু'জনেরই মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনার জেরে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটি ছ༺িল পিলাটাস পিসি ৭ এমকে ২।
আরও পড়ুন: কী কারণে ফরাক্কায় ঘটল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা? 🅘মুখ খুলল রেল, তবে কাটছে না ধোঁয়াশা
হায়দর💯াবাদের কাছে পিলাটাস বিমান দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তিনি একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘হায়দরাবাদের কাছে এই বিমান দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এতে দুই পাইলট প্রাণ হার🅘িয়েছেন। এই দুঃখজনক সময়ে, আমি শোকাহত পরিবারের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’
এদিকে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফ থেকে জꦯানানো হয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ার কারণ জানতে কোর্ট অফ ইনকোয়ারি শুরু করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বায়ুসেনার দুই পাইলট তেলাঙ্গানার হায়দরাবাদে🌄র এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমি থেকে একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ ‘সর্টি’ সম্পন্ন করছিলেন। সেই সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে সেই বিমান ভেঙে পড়ে। এদিকে ঘটনার পরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে বিমানে থাকা দুই পাইলটকে বের করার চেষ্টা করছেন কয়েকজন। এদিক বিমানটিত আগুন লেগে গিয়েছিল। সেটি দাউদাউ করে জ্বলছিল।
উল্লেখ্য, এই পিলাটাস প্রশিক্ষণ বিমানটি সুইৎজারল্যান্ডের একটি সংস্থা তৈরি করে। ২০০৮ সাল থেকে এই বিমা🐷ন পাঁচটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রসঙ্গত, পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য বায়ুসেনা ৭৮টি পিলাটাস বিমান কিনেছিল সুইস সংস্থাটি থেকে। এই দুর্ঘটনার জেরে ফের একবার এই বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।