শয়ে শয়ে করোনা আক্রান্তদের দেহ নদীবক্ষে ভাসতে দেখে, শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।কোনও দেহ পচন ধরা তো কোনওটা আধ পোড়া এই অবস্থায় দেহগুলো নদীর স্রোতে ভে𝔉সে এক রাজ্য ছাড়িয়ে আরেক রাজ্যে যাওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে তীব্র💟 আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
করোনা আক্রান্তদের দেহে নদীর জল কতটা দূষিত হয়েছে বা জল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাই বা কী রকম রয়েছে, কিংবা নদীতীরে গণকবর দেও🍃য়ার ক্ষেত্রে মাটিতে তার কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে এবার গবেষণায় নামত🃏ে চলেছে আইআইটি কানপুর।
আইআইটি কা🔴নপুরের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিনোদ তারে জানিয়েছেন, নদীগুলোতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া বা নদীতীরে মৃতদেহ কবর দেওয়ার ক্ষেত্রে মাটি ও জলে তার কী প্রভাব পড়ছে, সেবিষয়ে যাচাইয়ের জন্য ‘সেন্ট্রাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি)’র অধীনে গবেষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রায় বরেলি, উন্নাও, কানপুর, ﷺফতেহপুর ও কন্নৌজে গঙ্গার তীরে গণকবর পাওয়ার পর করোনা রোগীদের মৃতদেহের জন্য জল ও মাটিতে দূষণ ছড়ানোﷺর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিনোদবাবু বলেন, ‘ আমরা মৃতদেহ জলে ভাসানো ও মাটিতে কবর দেওয়ার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করဣতে যাচ্ছি। এনএমসিজি পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আর🌜ও বলেন, ‘ গঙ্গায় করোনা আক্রান্তদের ভাসিয়ে দিলে হয়ত জীবাণু ধুয়ে যেতে পারে, কিন্তু তা কখনোই ধ্বংস হবে না। কারণ, ভাইরাস ধ্বংস করতে গেলে তাপ-সহ বিভিন্ন র🐻সায়নিকের প্রয়োজন হয়।’
নদীঘাটে দেহ ভাসানো ও কবর দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিনোদবাবু বলেন, ‘ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এই দেহ ভাসানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল ছিল।’ তিনি বলেন, ‘নদীর জলে মৃতদেহে ভাসানো রুখতে সরকারের অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ কারণ, বিশেষ করে বড়রা গঙ্গা থেকে জল তুলে সেটা পান করেন। শুধু তাই নয়, ন🍨দীতীরে সবজি চাষও করা হয়।’ তিনি মানুষের কাছে মরদেহ নদীতে ভাসানো বা কবর না 🌜দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই উন্নাও, কানপুর ও কন্নৌজে প্রচুর কবর পাওয়া গিꦗয়েছে। সেখানে দেহ মাটির দু থেকে তিন ফুট নীচে কবর দেওয়া হয়েছে। সেক্ষত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, নদীর জল বাড়লেই, লাশগুলো জলে ভেসে উঠবে।
যদিও রাজ্যের বিপর্যয়🥂 মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), প্যাক ও রিভার পুলিশের জওয়ানেরা এই জেলাগুলোয় নৌকোয় টহল দিচ্ছেন। কানপুরের পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ বলেন, ‘বেশ কয়েকটি জেলায় এই ব্যবস্থা করা হবে।’