এক ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে আইআইটি মান্ডির সদ্য 🅷নিযুক্ত ডিরেক্টর অ𝄹ধ্যাপক লক্ষ্মীধর বেহরাকে ঘিরে। ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে কানপুর আইআইটির এই প্রাক্তন শিক্ষাবিদ তথা আইআইটি মান্ডির সদ্য নিযুক্ত ডিরেক্টর দাবি করেছেন যে, 'ভূত' রয়েছে। আর তিনি নিজে মন্ত্রবলে একবার দুষ্ট আত্মা তাড়িয়েওছেন।
কানপুর আইআইটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লক্ষ্মীধর বেহরা। দিল্লি আইআইটির এই প্রাক্তনী পোস্ট ডক্টরেট করেন জার্মান ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে। রোবোটিক্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। এদিকে, যে ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে , তাতে ১৯৯৩ সালের এক ঘটনা তুলে ধরেছেন এই অধ্যাপক। সেখানে তিনি বলছেন, তাঁর এক 'বন্ধুর পরিবার ভূতের দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকে।' ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, তিনি বলছেন, এরপর তিনি শুরু করেন 'ভগবত গীতায় লেখা ভাবধারা ও জ্ঞান নিয়ে অনুশীলন করতে।' এক্ষেত্রে 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম' মন্ত্রেরও উল্লেখ করেছেন তিনি। ভিডিয়োতে তিনি বলছেন, চেন্নাই নিবাসী তাঁর এই বন্ধুর বাড়িতে তিনি ২ জনকে সঙ্গী করে গিয়েছিলেไন। তিনি বলেন, 'আমি আমার দু'জন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যে ৭ টার সময় গেলাম। উনি (বন্ধু) রিসার্চ স্কলারদের অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মন্ত্রোচ্চারণের পর ওই বন্ধুর বাবাকে দেখা যায় আচমকা।' বর্ণনার সুরে তিনি ওই ভিডিয়োতে💟 বলেন, 'ওঁর (বন্ধুর বাবা) মাথা প্রায় ছাদ স্পর্শ করছিল। আপনি বুঝতেই পারছেন যে, তিনি ততক্ষণে সম্পূর্ণভাবে দুষ্ট আত্মার কবলে চলে গিয়েছিলেন।'
একই সঙ্গে রোবোটিক্সে দক্ষ এই অধ্যাপকের দাবি, তাঁর স্ত্রী ও বন্ধুও একবার 'দুষ্ট আত্মার কবলে' চলে যান। এরপর তিনি ৪৫ মিনিট ধরে ꩵউচ্চৈস্বরে মন্ত্র উচ্চারণ করার পর সেই দুষ্ট আত্মা ছেড়ে চলে যায়। এমনই দাবি অধ্যাপক বেহরার। এরপর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ' ভূত রয়েছে।' উল্লেখ্য, সাত মাস আগে একটি ইউটিউব পেজ 'লার্ন গীতা, লিভ গীতা' য় তাঁর এই সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়। এরপর সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ভিডিয়ো সেটিং 'পাবলিক' থেকে 'প্রাইভেট' করা হয়েছে।