গত এপ্রিলেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তরফে পূর্বাভাস প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল যে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার হবে ১২.৫ শতাংশ। তবে তখনও ডেল্টার প্রকোপ সেভাবে পড়েনি। ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েনি। মৃত্যু মিছিল ঠেকাতে ফের লকডাউনের পথেও হাঁটেনি রাজ্যগুলি। তবে এতকিছুর পর জুলাই মাসে এসে নিজেদের পূর্বাভাস বদলর করল আইএমএফ। সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এদিন জানিয়েছেন যে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২২ অর্থবর্ষে ১২.৫ শতাংশ নয় বরং ৯.৫ শতাংশ হতে পারে।অর্ধবার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক সম্মেলনে গীতা গোপীনাথ বলেন, 'অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ধীর হয়েছে বহু দেশেই। নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতে। তাই ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কাটছাঁট করা হয়েছে। মার্চ-মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে এই কাটছাঁট করা হয়েছে।'তিনি আরও বলেন, 'ডেল্টার জেরে যেভাবে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে তার জন্যে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কাটছাঁট করা হয়েছে। তবে সংক্রমণ বৃদ্ধির এই ঘটনা গোটা বিশ্বেই দেখা গিয়েছে। এশিয়ায় ভারত ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া এভং মলয়েশিয়াতেও এই একই জিনিস দেখা গিয়েছে। আমেরিকাতেও ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা দেখেছি আমরা। তাই এটা আমাদের কাছে উদ্বেগের বিষয়। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কোনদিকে যায় তারদিকেও নজর রাখা হবে।'উল্লেখ্য, করোনার জেরে প্রায় সব অর্থনৈতিক সংস্থা ভারতের প্রবৃদ্ধি হারের পূর্বাভাসে কাটছাঁট করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও পীর্বাভাস প্রকাশ করে বলেছে ২০২২ সালে ভারতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৯.৫ শতাংশ হবে। এদিকে ২০২২ সালের প্রবৃদ্ধির হারে কাটছাঁট করা হলেও ২০২১ অর্থবর্ষে ভারতের প্রবৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে আইএমএফ। পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।