ইমরান খানকে কার্যত ক্রিজে দাঁড় করিয়ে 'ননস্ট্রাইকারদের' রানআউট করাচ্ছে পাক সেনা। গত ৯ মে সেদেশে সেনার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়, তারপর থেকেই একে একে দল ছাড়তে শুরু করেছেন একাধির হাইপ্রোফাইল পিটিআই নেতা। এই আবহে ইমরান খানকে পুরোপুরি একা করে দিতে চাইছে পাক সেনা। পাক সংবাদমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানি স♔েনাই পিছনে কলকাঠি নেড়ে এই পিটিআই নেতাদের দল ছাড়তে বাধ্য করছে। এই আবহে এবার দলছুটদের তালিকায় নয়া সংযোজন ফাওয়াদ চৌধুরী। ইমরান খানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফাওয়াদ বুধবার পিটিআই ছাড়েন। এর আগে তিনি পাক সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী ছিলেন। তবে গত ৯ মে-এর তাণ্ডবের পর তিনি হাজতে যান। আর এরপরই রাজনীতি থেকে 'সন্ন্যাস' নেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। এদিকে পিটিআই-এর সাধারণ সম্পাদক তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আসাদ উমরও নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছেন। পরপর এই পদত্যাগ যে ইমরানের কাছে বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরিকল্পনা চলছে। এরই মধ্যে ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, পিটিআই-এর সঙ্গে যুক্ত সকল নেতাকেই পাক সরকার 'ওয়ান্টেড' তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে। এই আবহে পিটিআই নেতাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁর💦 সঙ্গ ত্যাগের জন্য। এরই মাঝে ইমরানকে আরও একা করে দিয়ে গতকাল ফাওয়াদ টুইট করে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই ফাওয়াদই কয়েক সপ্তাহ আগে ইমরানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সুর চড়িয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন। জেলেও গিয়েছিলেন। তবে সেই ফাওয়াদই এবার সঙ্গ ত্যাগ করলেন কাপ্তানের।
এদিকে গতকাল টুইট করে ফাওয়াদ লেখেন, 'আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, ৯ মে যে হিংসা হয়েছে, তার আমি তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি রাজনীতি থেকে দূরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমি ইমরান খানের সঙ্গ ছেড়েছি এবং দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।' উল্লেখ্য, ইমরান খানকে আদালতের বাইরে রেঞ্জার্সরা গ্রেফতার করার পর অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান। গত ৯ মে সেদেশের সেনার সদর দফতরে হামলা চালিয়েছিল পিটিআই সমর্থকরা। বিভিন্ন প্রদেশে পাকিস্তানের কোর কমান্ডারদের বাসভবনে অগ্꧒নিসংযোগ করা হয়েছিল। এই হামলার ঘটনাকে কোনও ভাবেই ভালো চোখে নেয়নি পাক সেনা। হামলার সময় সাধারণ মানুষের ওপর পালটা হামলা চালানো না হলেও এখন এর 'প্রতিশোধ' নিচ্ছে তারা। ইমরানের সঙ্গীদের একে একে রাজনীতি ছাড়তে চাপ দিচ্ছে সেনা। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সম্প্রতি জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার চিন্তা ভাবনা চলছে। ইমরান খান সরাসরি সেনার বিরুদ্ধে মানুষদের উসকানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।