এখানে কী খেলা হবে? প্রশ্নকর্তা এক ত্রিপুরাবাসী। জবাবও এলো সপাটে। আলবাত হবে, উত্তর দিলেন এক ত্রিপু♓রার যুবক। সুতরাং আম আদমি এখন এখানে খেলা হোক চাইছেন—এটা স্পষ্ট। সোমবার সেখান꧂ে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই রবিবাসরীয় সকালে ত্রিপুরার যুব সমাজের মন বুঝতে আসরে নামলেন দেবাংশু–জয়া–সুদীপ। মন বুঝতে বেশি সময়ও লাগল না। কারণ আগরতলা স্টেশনে এই তিন মূর্তিকে দেখে যেভাবে খেলা হবে গান বেজে উঠল তাতে স্পষ্ট ২০২৩ সালের নির্বাচনে যুবসমাজ ত্রিপুরায় বদল ঘটাবেই। আর বিজেপি বিরোধিতায় যুবদের চাহিদাকেই হাতিয়ার করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
এখানের যুব সম্প্রদায় বলছে, ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পরে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্যে ব্যাপক হারে শিল্প আসবেꦆ। কিন্তু সাড়ে তিন বছর অতিক্রান্ত শিল্পের ব্যাপক হারে আগমন কেউ দেখতে পাননি বলে অভিযোগ যুবদের৷ এমনকী পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যে একচিলতে কাজ হয়নি বলেও ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে। কর্মসংস্থান নেই। সরকারি নিয়োগ বন্ধ। মার খাচ্ছে রাবার এবং চা চাষ।
স্থানীয় যুবক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার জানান, সরকার কোনও শিল্প আনার চেষ্টা করে না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পও এখানে সব বাস্তবায়িত করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে যে উদ্যম দেখেছিলাম তাতে ভ🌸েবেছিলাম যুবদের বিষয়টি তিনি বুঝবেন। কিন্তু তা হল না। আর এক যুবতী জানান, শিল্প না আসলে এখানে কর্মসংসﷺ্থান হবে না। বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি সাহায্য মেলে না।
এলাকার কয়েকজন মাঝবয়সি ব্যক্তিরা জানান, এখানে উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। হয় কলকাতা না হয় শিলং। পড়াশোনার জন্য ভালো কোনও প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। সরকারি নিয়োগ নেই। ১০১২৩ শিক্ষক ছাঁটাই হয়েছে। প্রত🍒ি বছর যে পরিমাণ অবসর হচ্ছে সেই পরিমাণ নিয়োগ নেই। এই সব বক্তব্য💙 ত্রিপুরায় পা রাখলেই শোনা যাচ্ছে।