আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে ইউক্রেন নিয়ে সংঘআতের আবহাওয়া বজায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধান সূত্র বের করার আহ্বান জানাল ভারত। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের ꦜপরিস্থিতিত নিয়ে এই প্রথমবা💝র মুখ খুলল ভারত।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো হয়। মার্কিন মুলুকে আল-কায়দার ৯/১১ হামলার পর ধাপে ধাপে আরও কাছে আসে ভারত-আমেরিকা। বর্তমানে চিন ইস্ꦯযুতে ভারত-আমেরিকা একই মেরুতে হওয়ায় দুই দেশ বেশ কাছাকাছি এসেছে। এই সময়কালে অবশ্য রাশিয়ার সঙ্গে 'ঐতিহাসিক বন্ধুত্বে' চিড় ধরতে দেয়নি ভারত। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত দু'নৌকায় পা দিয়ে চলার চেষ্টা করতে চেয়েও পারবে না বলেই মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই পরিস্থিতিতে আপাতত শান্তি বজায় রেখে দুই পক্ষকেই যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার বার্তা দিল ভারত।
এদিন অরিন্দম ব🌠াগচি বলেন, 'আমরা এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কূটনৈতিক আচোলনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাই। আমরা রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনা সম্পর্কে অবগত। ইউক্রেনের ঘটনাবলিগুলো অনুসরণ করছি। কিয়েভে আমাদের দূতাবাসও স্থানীয়ভাবে ঘটনার উপর নজর রেখে চলেছে।' এর আগে ভারতের তরফে ইউক্রেনে বসবাসরত সকল ভারতীয়দের বলা হয়েছিল যাতে তারা অবিলম্বে দূতাবাসে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করায়। বর্তমানে কিয়েভে ভারতের প্রায় ১৮ হাজার পড়ুয়া মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে বলে অনুমান ভারতীয় দূতাবাসের।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে কোনও সমাধান সূত্র বের করতে সক্ষম হয়নি আমেরিকা। সম্প্রতি আমেরিকꦐার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৈঠক হয় জেনেভায়। তবে তাতে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই বৈঠকের আগেই অব꧂শ্য আমেরিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে দাবি করেছিল, রাশিয়া যেকোনও সময় ইউক্রেন দখল করতে পারে।
মার্কিন গোয়ান্দাদের আশঙ্কা, ২০১৪ সালের ক্রাইমিয়ার মতো🏅ই রাশিয়া আবারও হানা চালাতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমী দেশগুলি ও মস্কোর মধ্যে বহু দফার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ওই এলাকা থেকে এখনও অনড় রাশিয়ান সৈন্যরা। রাশিয়ার দাবি, আমেরিকাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ইউক্রেন কো💃নওদিন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। পাশাপাশি পূর্বতন কোনও সোভিয়েট দেশে ন্যাটো তাদের অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র বসাতে পারবে না।