গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্ণাটক-সহ 🐎একাধিক রাজ্যে অভিযান চালাচ্ছিল আয়কর দফতর। কর্ণাটকের এক কংগ্রেস নেতার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ৪২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এবার পুরো অভিযান পর্বে কর্ণাটক থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা এবং সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ করল আয়কর দফতর। সব মিলিয়ে ৯৪ কোটি নগদ টাকা এবং আট কোটি টাকা মূল্যের সোনা-হিরের গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর আয়কর দফতরের তরফ থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়। বিভিন্ন সরকারি ঠিকাদারদের বাড়িতে এবং অফিসে অভিযান চালিয়ে হিসাব বহির্ভূত টাকা এবং গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কর্ণাটকে🎐র দুর্ভাগ্য যে কংগ্রেস সরকার অর্থ তছরুপ, দুর্নীতি এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য এটিএম বানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কংগ্রেস নেতার আত্মীয়ের ফ্ল্যাট 💜থেকে 🅘উদ্ধার ৪২ কোটি টাকা, সরব বিজেপি
আয়কর দফতর গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালানোর পর এই প্রথম বিবৃতি দিয়েছে। দাবি করা হয়েছে , কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা এবং দিল্লিতে সরকারি ঠিকাদার, প্রোমোটার এবং তাঁদের সহযোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। স𓂃বমিলিয়ে ৫৫ টি জায়গায় অভিযান চালান🦩ো হয়। ৩০টি দামি ঘড়ি উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, প্রচুর নথি উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর, যেখানে পণ্য কেনার ভুয়ো নথি পাওয়া গিয়েছে।
বিজেপি সাংসদ রবিশংকর প্রসাদ বলেন, সিদ্দারামাইয়া সরকার সম্প্রতি সরকারি ঠিকাদারদের ৬০০ কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, যে আয়কর বিভাগের অভিযানে পাওয়া ৯০ কোটি টাকা হল সরকারের অর্থ। তিনি বলেন, ‘সিদ্দারামাইয়া সরকারের দুর্নীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রথম থেকেই ছিল, তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে দুর্নীতি এতটা হয♋়ে উঠবে, তা আশা করা যায়নি।’ তাঁর কথায়, আয়কর দফতরের অভিযানে যে নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে, তার কোনও জবাব নেই কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতাদের কাছে। কিন্তু রাহুল গান্ধীকে এই বিষয়ে নীরবতা ভাঙতে হবে।