রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসাবে সুদানে মোতায়েন ভারতীয় সৈন্যরা দড়ি টানাটানির লড়াইতে হারিয়ে দিল চিনা সেনাকে। ভারতীয়দের পাশাপাশি সুদানে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে মোতায়েন আছে চিনা সেনাও। সেখানেই ভারত ও চিনা সেনাদের মধ্যে দড়ি টানাটানির ম্যাচ হয়েছিল। সেই টাগ অফ ওয়ার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় ভারতীয় সেনা। সেই টাগ অফ ওয়ারের ম্যাচের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েনের জন্য সম্পর্ক শীতল হয়েছে দিল্লি-বেজিংয়ের। তবে এরই মাঝে ভিনদেশে দুই দেশের সেনা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শান্তিরক্ষার কাজে নিযুক্ত। তবে তার মাঝেও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব রয়ে গিয়েছে তাদের মনে। সেখান থেকেই আফ্রিকার সুদানে দুই দেশের সেনার দড়ি টানাটানির লড়াই হল। এবং তাতে ভারতীয় জওয়ানদের জয় হল। (আরও পড়ুন: 'সত্যিকারের নেতা এবಞং রোল মডেল', ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে UN)
আরও পড়ুন: ৬২'র দখলদ✨ারি নিয়ღে বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস নেতার, পালটা 'চিনা প্রেম' খোঁচা BJP'র
প্রসঙ্গত, লাদাখে প্রায় ২০ দফায় সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারত ও চিনের সামরিক আধিকারিকদের মধ্যে। তবে কোনও সমাধানসূত্র এখনও বেরিয়ে আসেনি। উলটে চিন নিজেদের অবস্থানেই অনড় থেকেছে। 🔯প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষ বেঁধেছিল ভারত ও চিনা সেনার꧂। এরপরও আরও দু'বার নাকি চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গালওয়ানের সংঘর্ষের পর আরও যে দু'টি সংঘর্ষ হয়েছিল, সেগুলি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ভাগের চক্রাꦕন্ত চলছে... অন্য এক দꦑেশ এয়ার বেস গড়তে চেয়েছিল এখানে: হাসিনা
উল্লেখ্য, গালওয়া🧔ন সংঘর্ষের আগে থেকেই সীমান্ত নিয়ে চিনা সেনার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। তবে তাতে কোনও সমাধান সূর বেরিয়ে আসেনি। বরং চিনা সেনা সুযোগ বুঝে বারবারই আগ্রাসন দেখিয়েছে। শুধু লাদাখ নয়, উত্তরপূর্বে অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরেও স্থিতাবস্থা পরিবর্তন কার চেষ্টা আছে চিনা সেনা। এর আগে ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াঙে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল চিনা সেনা। ভারতীয় জওয়ানরা চিনা সেনার সেই আগ্রাসনকে রুখে দিয়েছিল। তবে কয়েকদিন আগেও পূর্ব সেক্টরে অরুণাচলকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছিল চিন। এই নিয়ে বেজিংয়ের বক্তব্য, চিন-ভারত সীমান্ত কখনওই নির্দিষ্ট করা হয়নি। পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের জাংনান (অরুণাচলের চিনা নাম) বরাবরই চিনের এলাকা। ভারতের অবৈধ দখলের আগ পর্যন্ত ♔চিন জাংনানের উপর কার্যকরী প্রশাসনিক এক্তিয়ার প্রয়োগ করে আসছিল। এটি একটি মৌলিক সত্য যা অস্বীকার করা যায় না।