ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। কার্যত বাধ্য হয়েই অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কড়া শব্দও প্রয়োগ করলেন। তবে একবারও চিনের নাম নিলেন না।করোনাভাইরাস এবং লকডাউন পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ নিয়ে প্রথম দফায় ১৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করছেন মোদী। রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে মোদী বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে আশ্বাস দিতে চাই যে আমাদের জওয়ানদের আত্মবলিদান বৃথা যাবে না। আমাদের কাছে দেশের ঐক্য এবং সার্বভৌমতা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তা সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। এ বিষয়ে কারোরই ন্যূনতম সন্দেহ বা ভুল ধারণা হওয়া উচিত নয়।' তারপরই নাম না করে চিনকে হুঙ্কার দিয়ে মোদী বলেন, 'ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্ররোচিত করলে যে কোনও পরিস্থিতিতে যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আছে ভারতের। আমাদের বীর শহিদ জওয়ানদের প্রসঙ্গে বলছি, দেশ গর্বিত হবে যে ওঁরা (বিপক্ষকে) মারতে মারতে শহিদ হয়েছেন।’ পাশাপাশি, গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিন সেনার সংঘর্ষে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদী, শাহ, রাজনাথ-সহ বৈঠকে উপস্থিত সকলেই দু'মিনিটের নীরবতা পালন করেন। মোদীর সেই হুঙ্কারের পর প্রত্যাঘাতের জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চিনে প্রত্যাঘাতের কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। তাছাড়া যদি সত্যিই প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা থাকত, তাহলে আগে থেকেই হুঙ্কার দিতেন না। বরং পুরোটাই গোপনে চলত। একইসঙ্গে মোদী একবারও চিনের নামই নেননি। ফলে সেটা অনেকটাই ‘নরম’ হুঙ্কার হয়েই থেকে গিয়েছে। এমনকী এটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, চিনা সেনার তরফেও হতাহতের খবর মিলেছে। ফলে প্রত্যাঘাতের কার্যত কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তাঁদের বক্তব্য, ঘরোয়া রাজনীতিতে মোদীর উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। জনগণের একটি অংশেও মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেজন্য ‘নরম-গরম’ বার্তা দিয়ে নিজের উপর চাপ থেকে কিছুটা চাপ কমালেন মোদী।