বেশিক্ষণ জলের তলায় থাকতে পারবে। বাড়বে সামরিক ক্ষমতা। ‘কৌশলগত সহায়তা’ মডেলের আওতায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ৪৩,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এমনই ছ'টি অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন তৈরির ছাড়পত্র দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা জলের তলায় নৌবাহিনীর ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনের ক্রমবর্ধমান ডুবোজাহাজের মোকাবিলা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র অন্যতম বড় কর্মসূচি হতে চলেছে এই ছ'টি ডুবোজাহাজ তৈরির কাজ। যা দ্রুত ভারতে নয়া প্রযুক্তির আনা এবং ভারতেই ডুবোজাহাজ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। কৌশলগত দিক থেকে এই কর্মসূচির ফলে ভারতের আমদানি নির্ভরতা করে কমে যাবে এবং আরও আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে ভারত। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৩০ বছর ধরে ডুবোজাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর কর্মসূচির আওতায় সেই ডুবোজাহাজ কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৯ সালে যে কর্মসূচিতে অনুমোদন দিয়েছিল সুরক্ষা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ছ'টি ডুবোজাহাজর তৈরির প্রস্তাবে যে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে, তা ঐতিহাসিক। কারণ এই প্রথম ‘কৌশলগত সহায়তা’ মডেলে কোনও প্রকল্প ছাড়পত্র পেয়েছে। সেই মডেলে দেশের মধ্যে ভারতীয় সংস্থাগুলির উৎপাদনের জোর দেওয়া হয়েছে। যেই সংস্থা দেশেই উৎপাদনের পরিকাঠামোর তৈরির জন্য বিদেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া ডুবোজাহাজে ‘এয়ার ইন্ডিপেনডেন্ট প্রপালশন’ ব্যবস্থা থাকবে। যা বেশি সময় ডুবোজাহাজকে জলের তলায থাতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে সামরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। আধিকারিক জানিয়েছেন, সেই কর্মসূচিতে অবশ্য ডুবোজাহাজ হাতে আসতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। মোটামুটি ১০ বছর পর প্রথম ডুবোজাহাজটি পাবে ভারতীয় নৌবাহিনী।