নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিল ভারত। উল্লেখ্য, ওমিক্রন ত্রাসের মাঝে করোনা বিধ্বস্ত ভারত যে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয়, তা ফের একবার স্পষ্ট করল দিল্লি। ডিজিসিএর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত 'শিডিউলড' আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে ভারতে। তবে এর প্রভাব এয়ার বাবল-এর মাধ্যমে চলাচলকারী বিমানে পড়বে না। উল্লেখ্য, একাধিক গবেষণা ধর্মী রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, জানুয়ারি মাসের শেষের দিক কিম্বা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমের দিকে করোনার তৃতীয় স্রোতের 'শিখর' দেখা যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, করোনার জেরে দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত যেতে পারে সংক্রমিতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে করোনা টেস্টিং বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে, বিমান চলাচল নিয়েও বড় ঘোষণা করেছে ডিজিসিএ। ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছিল, যে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই বিমান চলাচল চালু করা হবে কি না। তবে, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। ফলে ফের একবার বিমান চলাচল চালু করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সরকার নিজের পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ১৫ জানুয়ারির আগে। ফলে তখন চালু করা যায়নি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিমানের যাতায়াত।উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল-এ সংযুক্ত রয়েছে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাহারিন, বাংলাদেশ, ভুটান , কানাডা, ইথিওপিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরাক, জাপান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কুয়েত, মালদ্বীপ, মরিশাস, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, কাতার, রাশিয়া, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব, সেশেলস, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, তানজানিয়া, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উজবেকিস্তান। এই চুক্তিবদ্ধ এয়ার বাবল-এর দ্বারা দুই পক্ষের দেশেই যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীদের কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে ধার্য করা হয়েছে।