গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতি বেড়েছে ৩.১ শতাংশ হারে। এটি হল জানুয়ারি- মার্চ মাসে। এর আগের বছরের একই সময়কালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ। সবমিলিয়ে ২০১৯ অর্থবর্ষে জিডিপি বেড়েছে ৪.২ শতাংশ যেটি তার আগের অর্থবর্ষের থেকে ১.৯ শতাংশ কম!খেয়াল রাখতে হবে, লকডাউন ঘোষিত হয়েছিল ২৫ মার্চ। অর্থাত, মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন ছিল গত অর্থবর্ষের যেটি লকডাউনের প্রভাবে ছিল। সামগ্রিক ভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে স্লথ গতি, তারই প্রভাব পড়েছে ভারতের ওপর। করোনার প্রভাবে চিনের অর্থনীতি জানুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে ৬.৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। অর্থনীতিকে কতটা খারাপ ভাবে পরিচালনা করা হয়েছে, আজকের জিডিপি নম্বর তারই নিদর্শন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। গত অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে ম্যানুফ্যাকচারিং সংকুচিত হয়েছে ১.৪ শতাংশ, নিমার্ণ শিল্প সংকুচিত হয়েছে ২.২ শতাংশ। গত কুড়ি বছরের মধ্যে এত কম জিডিপি বৃদ্ধি হয়নি কোনও বার, বলে জানিয়েছে এএফপি। অন্যদিকে গত অর্থবর্ষের জন্য ফিসক্যাল ডেফিসিট অর্থাত ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪.৫৯ শতাংশ মোট জিডিপি-র। সরকারের পরিকল্পনা ছিল এটা ৩.৮ শতাংশের মধ্যে রাখার, কিন্তু সেই কাজে তারা ব্যর্থ।চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি যে সংকুচিত হবে, তা এখনই হলফ করে বলে দেওয়া যায়। ইতিমধ্যে তা মেনেও নিয়েছে আরবিআই। পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয় প্রথম কোয়ার্টারে ও তারপর ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁডাতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।