বিজেপির যুব মোর্চার মুখপাত্র রুচি পাঠক। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে ঝাঁসিতে সংবাদমাধ্যম আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বিতর্কে জ൩ড়ালেন রুচি। কংগ্রসকে বিঁধতে গিয়ে এমন কথা বলে ফেললেন যা অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকেই। কংগ্রেসের সমালোচনা করতে গিয়েছিলেন যুব মোর্চার নেত্রী। তখনই তিনি বলেন, ভারত পুরোপুরি স্বাধীনতা পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ৯৯ বছরের লিজে পেয়েছিল কংগ্রেস। এই সংক্রান্ত একটি লিখিত চুক্তিও হয়।ইতিহাস পড়ে দেখুন। ব্রিটিশরা স্বাধীনতা দিতে চাইছিল না। সেই সময় জওহরলাল নেহেরু, মহাত্মা গান্ধী শপথ নিয়েছিলেন। তখন ভোট হয়নি। অথচ ভারতের সংবিধান তৈরি হয়নি। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছিলেন নেহেরু।
তবে রুচি পাঠকের এই মন্তব্যকে ঘিরে একেবারে শোরগোল নেটপাড়়ায়। ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। প্রশ্ন উঠছে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা দলকে কি পিছিয়েই দিলেন রুচি পাঠক? কংগ্রেসও এনিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এরপরই লিখিত বিবৃতি জারি করে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, যে মন্তব্য আমি করেছিলাম তা সেই মুহূর্তে আবেগের বশে করা। দেশবাসীর আবেগে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য় ছিল না। এই মন্তব্য আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এর সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন তিনি একথা ব্লগে পড়েছিলেন ও রাজীব দীক্ষিতের একটি বিবৃতিতে পড়েছিলেন। এসব দেখে শুনে এক নেট নাগরিকের দাবি, হোয়াটস অ্যাপ ইউনার্ভিসিটি জিন্দাবাদ থা, জিন্দাবাদ হ্য়ায়, জিন্দাবাদ রহেগা। অপর একজন লিখেছেন, ৭৫ বছর তো হয়েই গেল। এবার আর ২৪ বছর মাত্র বেঁচে আছꦕে।