রেজাউল এইচ লস্করবৃহস্পতিবার এসসিও বিদেশমন্ত্রীদের মিটিংয়ে সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন ভারত- পাকিস্তান দুই দেশই।ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছেন, সন্ত্রাসবাদকে যারা আর্থিকভাবে সহায়তা করছে তাদের দমন করতে হবে।পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। সেখানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত এসসিও দেশকে অনুরোধ করেন। তবে জয়শঙ্কর বিশেষ কোনও পয়েন্ট এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেননি। তবে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। এটি পাকিস্তান অধিগৃহীত কাশ্মীরের উপর দিয়ে গিয়েছে।এদিকে বক্তব্য রাখার সময় জারদারি সাফাই দেন, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নম্বর তোলার জন্য সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করাটা উচিত হচ্ছে না। চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে তিনি আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য জরুরী বলে উল্লেখ করেন।সমুদ্রের ধারে তাজ এক্সোটিকাতে হচ্ছে এই মিটিং। প্রায় ১২ বছর পরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী এসেছেন ভারতে। শুক্রবার সকালে তিনি ভারতে আসেন। নমস্তে বলে সম্বোধন করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।বিলাওয়ালের সঙ্গে কোনও করমর্দন নয়।জয়শঙ্কর তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে জানিয়েছেন, গোটা বিশ্ব যখন কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তার ফলাফলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছে তখনও সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই সন্ত্রাসবাদের কোনও যৌক্তিকতা নেই। এটাকে বন্ধ করতেই হবে। আন্তঃ সীমান্ত জঙ্গিবাদকে দমন করতেই হবে।যে পথে জঙ্গিদের হাতে অর্থ আসছে তা বন্ধ করতে হবে। সদস্যদের একথা মনে করিয়ে দিতে হবে না যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এই এসসিও মিটিংয়ের অন্যতম লক্ষ্য। জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।জয়শঙ্কর জানিয়েছেন SECURE শব্দটি মনে রাখতে হবে আমাদের। Security, economic development, connectivity, unity, respect for sovereignty, territorial integrity, environmental protection।এদিকে এস জয়শঙ্করের বক্তব্য়ের জবাবে জারদারির সাফাই, সন্ত্রাসবাদ গোটা বিশ্বের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি হুঁশিয়ারি। তবে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নম্বর তোলার জন্য় সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করবেন না।