চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কিছুটা কমল ভা♎রতের আর্থিক বৃদ্ধির হার। সোমবার জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৪ শতাংশ। যা গত দুট𝄹ি ত্রৈমাসিকের থেকে কিছুটা কম।
প্রাথমিকভাবে চলতি অর্থবর্ষে (২০২১-২২) জিডিপি ৯.২ শতাংশ হারে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এবার তা কমিযে ৮.৯ শতাংশ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জিডিপি ৭.৩ শতাংশ হারে কমཧবে বলে ꦐপূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে সোমবার তা সংশোধন করে ৬.৬ শতাংশ করা হয়েছে। যা চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
এবারের বাজেট পেশের আগেরদিনে সংসদে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই সমীক্ষায় পূর্বাভাস দ♛েওয়া হয়েছিল, চলতি বছর (২০২১-২২ অর্থবর্ষ) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯.২ শতাংশ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস টিকাকরণ, জোগান সংক্রান্ত খাতে সংস্কার, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল, রফতানি বৃদ্ধি, মূলধনী খাতে ব্যয় বৃদ্ধির মতো বিষয়ের সমর্থন পাবে ভারতের অর্থনীতি। যদিও সোমবার জღাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে (২০২১-২২ অর্থবর্ষ) ৮.৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে জিডিপি।
আর্থিক সমীক্ষ🐭ায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, করোনাভাইরাসের নতুন কোনও ঢেউ আছড়ে পড়বে না, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কার্যকর হবে🦂 না - এমনটা আশা করেই দেওয়া হয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস। সেইসঙ্গে স্বাভাবিক বর্ষা, বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অবস্থান, বিশ্বব্যাপী জোগান শৃঙ্খলের ঘুরে দাঁড়ানো এবং বিশ্ব বাজারে ব্যারেলপিছু অপরিশোধিত তেলের দাম ৭০-৭৫ ডলারের মধ্যে থাকবে ধরে নিয়ে সেই আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। যদিও রাশিয়া এবং ইউক্রেন ‘যুদ্ধের’ মধ্যে বৃহস্পতিবার বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘যুদ্ধের’ জেরে মুদ্রাস্ফীতি, ঊর্ধ্বমুখী অপরিশোধিত তেলের দামের জেরে অর্থনীতির গতি আবারও কমতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।