শতবর্ষে পা দিয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। সেই উপলক্ষে দিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস একটি ভার্চুয়াল আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল। সেখানে বক্তব্য পেশ করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের বেশ কয়েকজন বাম নেতা। সেই বৈঠকে যোগ দিয়ে এবার বিজেপির প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হলেন সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজার মতো বাম নেতারা। যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে বাম নেতাদের দাবি, রাজনৈতিক আদর্শের মিল থাকায় এই ব🔯ৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দেশের বাম নেতারা তো প্রথম থেকেই চিনকে সমর্থন করে এসেছেন। তাঁরা সিসিপি-র চেয়ারম্যানকে নিজেদের চেয়ারম্যান মনে করেন। চিনের উপর ভরসা থাকলেও তাঁদের ভারতের উপর ভরসা নেই।' এদিকে চিনা অনুষ্ঠানে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের যোগদানকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ অমিল জৈন বলেন, 'বাম নেতারা প্রথমে ঠিক করুক তাঁরা কাদের সমর্থন করেন, ভারত না চিনকে। এভাবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকে অংশ নেওয়া কখনও জাতির স্বার্থে হতে প꧙ারে না। এতে জনগণের কোনও লাভ হবে না। তাঁদের এই দেউলিয়াপনা এবার ফাঁস করা উচিত।'
উল্লেখ্য, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের ১৬০টি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেরকমই সভা হয় ভারতে। তাতে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএম-এর সীতা🌟রাম ইয়েচুরি, সিপিআই-এর ডি রাজা, লোকসভা সাংসদ এস সেন্থিলকুমার, অল ইন্ডিয়া ফরোয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জি দেবরাজন। এই প্রেক্ষিতে সীতারাম ইয়েচুরির সাফাই, 'সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আণরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই আছি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ভারত-চিন সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত নয়।' এদিকে এই অনুষ্ঠানে অবশ্য গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলেন চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং। সেখানে বেজিংয়েরই দাবি ফের একবার তুলে ধরা হয় যেখানে চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে চিনা সেনার এই ঘটনায় দোষ নেই। সেই প্রসঙ্গে কোনও বক্তব্য রাখেননি বাম নেতারা।