বুধবার ফের একবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল খালিস্তানপন্থীরা। তবে গতকাল ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে ছিল ব্যারিকেড। ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশও। তবে বিচ্ছিনাতাবাদের সমর্থনকারীরা ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে বোতল ছুড়ে মারে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে কালিও ছোড়া হয়। আর এর জবাবে ফের একবার বিশালাকায় ভারতীয় পতাকা টাঙিয়ে দেন হাইকমিশন কর্মীরা। জানা গিয়েছে, গতকাল প্রায় ২০০০ খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভ দেখায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে। তবে তেরঙ্গা টাঙিয়ে তাদের যোগ্য জবাব দেন ভারতীয় কর্মীরা। (আরও পড়ুন: DA ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় কড়া পদক্ষেপ কয়েকশো শিক্ষকের বিরুদ্ধে, কর্ম𒁃জীবনে পড়বে দাগ)
উল্লেখ্য, অমৃতপাল সিং কাণ্ডে এর আগেও ভারতীয় হাইকমিশনের ওপর হামলা হয়েছিল লন্ডনে। হাইকমিশনের সামনে উড়তে থাকা ভারতীয় পতাকা টেনে নামানোর চেষ্টা করেছিল এক খালিস্তানপন্থী। হামলার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে পদক্ষেপের আশা করেছিল ভারত। তবে এই বিষয়ে উদাসীন দেখায় ব্রিটিশ সর꧒কারকে। কূটনৈতিক পথে সেই উদাসীনতার জবাব দেওয়া হয়েছিল গতকালই। এরপরই টনক নড়ে ব্রিটিশ সরকারের।
এরপরই লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। উল্লেখ্য, গতকাল দিল্লিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিসের বাসভবনের সামনে🌜 থেকে ব্যারিকেড সরানো হয়। রাজাজি মার্গে অ্যালেক্সের বাসভবনের পাশাপাশি শান্তিপথে ইউনাইটেড কিংডমের হাইকমিমিশনের বাইরে থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যারিকেড। তবে, মিশনে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা কমানো হয়নি বলে জানা যায়। কিন্তু ভারত এভাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ায় টনক ওনড়ে লন্ডনের। সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাহ থমকে গিয়েছে নদীর,🎐 ভাসতে থাকা লাখ লাখ মাছ সরাতে দেওয়া হল 'কন্ট্র্যাক্ট'
প্রসঙ্গত, অমৃতপাল সিংয়ের সমর্থনে রবিবারও লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে 'হামলা' চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থী বেশ কয়েকজন। ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে থেকে ভারতীয় পতাকা টেনে নামানোর চেষ্টা করে এক খালিস্থানপন্থী বিক্ষোভকারী। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার গভীর রাতে ক্রিস্টিনাকে তলব করা হয় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে🐻। ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন না। লন্ডনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারের থেকে এই নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কীভাবে ভারতীয় হাইকমিশনে খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করল?
ভারত সরকারের তরফে আরও প্রশ্ন করা হয়েছে, লন্ডনের পুলিশ প্রশাসন এবং নিরাপত্তারক্ষীরা সেই সময় কোথায় ছিল? এদিকে ভা🌸রতী বিরোধী এবং বিচ্ছিনতাবাদীদের গতিবিধি রোধ করতে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তাও জানতে চাওয়া হয়। এই আবহে 'ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে মৌলিক বাধ্যবাধকতা'র বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। ঘটনার পর এক বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, 'ব্রিটেনে ভারতীয় কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ এবং কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের উদাসীনতাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে ভারত সরকার।' তবে এরপরও ব্রিটিশ সরকার উদাসীন ছিল বলে অভ🐠িযোগ।