প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অচলাবস্থার জেরে ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে ভারতে নিযুক্ত চিনা🔴 রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং আশা ব্যক্ত করেন যে ভারত এই সম্পর্ক মেরামত করতে সঠিক পথে হাঁটবে। প্রসঙ্গত, তাইওয়ান প্রণালীতে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি কার্যত 'এক চিন' নীতি এড়িয়ে যান। এই আবহে চিনের তরফে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আশা করি ভারত এক চিন নীতি পুনর্ব্যক্ত করবে।’
ﷺকয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি 🍷পেলোসি তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাইওয়ান প্রণালীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চিন সেখানে যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে। এই আবহে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের উপর চিন আক্রমণ চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতোই ভারতও এই ইস্যুতে বেশ উদ্বিগ্ন। দুই পক্ষের পদক্ষেপ এড়িয়ে গিয়ে স্থিতাবস্থা ধরে রাখা প্রয়োজন। উত্তেজনা প্রশমন করে শান্তি ও স্থিরতা বজায় রাখা হোক।’
প্রসঙ্গত, যেভাবে চিন বনাম তাইওয়ান সংঘাত মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে, তা নিয়ে অনেকেই যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। বহু দেশই চিনের সেনা আগ্রাসনের তুমুল সমালোচনা করেছে। সেক্ষেত্রে বেজিংয়ের ‘এক চিন’ নীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দিল্লি। ২০২০ সালের মে মাসে লাদাখ👍 সীমান্তে চিনা আগ্রাসন দেখা যায়। এরপর থেকে ভারতীয় সেনার নেতৃত্ব চিনা সেনার সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। তবে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এর আগেও চিন ভুটানের ডোকলামে আগ্রাসন দেখিয়ে ভারতীয় সেনার মুখোমুখি হয়েছিল চিন। এই আবহে তাইওয়ান ইস্যুতে ভারত কোয়াডভুক্ত দেশগুলির মতো চিনের বিরোধিতার ইঙ্গিত দিয়েছে।
এই আবহে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা চিন-ভারত সম্পর্ককে গুরুত্ব দেব এবং সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করব। আমরা আশা করি যে এই ধরনের প্রচেষ্টার ফলে অপর🙈 দিক থেকেও জবাব আꦅসবে এবং আমরা বিশ্বাস করি যে যখন আমরা এই ধরনের একটি লক্ষ্য অর্জন করব, তখন সেটা থেকে গোটা বিশ্ব উপকৃত হবে।’