১১ বছর আগে চিকিৎসক তথা কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নরেন্দ্র দাভোলকরকে খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। সেই ঘটনায় রায়দান করেছে পুনের বিশেষ ইউএপিএ আদালত। আর রায়দান করার পরেই সিবিআই এবং মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিল আদালত। বিচারক মন্তব্য 🥂করেছেন, মাস্টারমাইন্ডদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। একইসঙ্গে এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়েছে কি না তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পিপি যাদব।
নরেন্দ্র হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর এই মামলায় শুক্রবার রায়দান করে আদালত। তাতে দুই অভিযুক্ত শরদ কালাসকর এবং সচিন আন্দুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। অন্যদিকে, তিন অভিযুক্ত ডঃ বীরেন্দ্র সিংহ তাওড়ে, সঞ্জীব পুনালেকর ও বিক্রম ভ♈াবে এই মামলায় বেকসুর খালাস পান। প্রমাণের অভাবে তাদের বেকসুর খালাস দিতে বাধ্য হয় আদালত।
শুক্রবার রায়দানের পর বিচারক বলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থাগুলি যুক্তিবাদী ডঃ নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যার পিছনে মূল ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে আনতে ব্যার্থ হয়েছে। তাদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত, যে এটি নিছক ব্যর্থতা ছিল নাকি ক্ষমতায় থাকা কোনও ব্যক্তির প্রভাবের কারণে তারা নিষ্ক্রিয় ছিল।’ আদালতের এই মন্ত𓃲ব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এমন মন্তব্য করে কার্যত সিবিআই এবং মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিচারক।