মল্লিকা সোনিহিজাব বিরোধী আন্দোলনে নেমে আধা সামরিক বাহিনীর এক জওয়ানকে খুন করার অভিযোগে দুজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকরী করা হল ইরানে। তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এদিকে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশ হেফাজতে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।এরপর থেকেই ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন মাথাচাড়া দেয়।হিজাব বিরোধী আন্দোলনে নেমে শহিদ হয়েছিলেন রুহোল্লা আজামিয়ান। সেই অপরাধের মূল চক্রী হিসাবে দুজনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের নাম মহম্মদ মাহদি করামি ও সৈয়দ মহম্মদ হোসেইনি। জুডিশিয়াল নিউজ এজেন্সি মিজান অনলাইনের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে দুজনকেই এদিন সকালে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এদিকে ডিসেম্বরের প্রথমেই ওই দুজনকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হিজাব যথাযথভাবে না পরার অভিযোগে মহসা আমিনিকে ইরানের নীতি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে তার মৃত্যু হয়। এরপরই ইরান জুড়ে মাথাচাড়া দেয় হিজাব বিরোধী ভয়াবহ আন্দোলন। রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। আন্দোলনকে দমাতে সমস্যায় পড়ে সরকার। এরপর একে একে গ্রেফতার শুরু হয়। হাজার খানেক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয় ইরান জুড়ে। এদিকে আন্দোলনের সূচনা থেকেই একের পর এক আন্দোলনকারীকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। নিউজ এজেন্সি এএফপি সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ১৪জনকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকরী হয়েছে। দুজনের মৃত্যুদন্ডের নির্দেশকে নিশ্চিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ৬জন নতুন করে ট্রায়ালের জন্য অপেক্ষা করছেন। দুজন নতুন করে আবেদন করতে পারেন। এমনটাই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। এদিকে বিগত দিনে ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন মারাত্মক আকার ধারন করেছিল। প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছিলেন নারীরা। এমনকী প্রকাশ্যে হিজাব খুলে তারা প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। হাজার হাজার মানুষ এই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। এক সময় হিংসাত্মক রূপ নেয় এই আন্দোলন। আন্দোলন দমাতে দমন পীড়ন শুরু করে পুলিশ, প্রশাসন। পালটা ফুঁসে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। আক্রান্তহয় পুলিশ প্রশাসন। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ আন্দোলন। এমন আন্দোলন দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। এবার সেই আন্দোলনকে দমাতে ফাঁসির নির্দেশও কার্যকরী হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার দুজন আন্দোলনকারীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল। কার্যত এই বড় নির্দেশ কার্যকরীর মাধ্যমে বড় বার্তা দেওয়া হল বলেও মনে করছেন অনেকেই।