নীরজ চৌহান
সাম্প্রতিককালে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্রমেই বেড়েছে ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনা। ধারাবাহিক এই অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলির তদ🏅ন্তে নেমেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিং এজেন্সি। তদন্তকারীদের ধারণা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে জঙ্গিরা এই ড্রোন অনুপ্রবেশের নেপথ্যে রয়েছে, তারা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে কাজ করছে। গত কয়েকদিনে কাশ্মীর সীমান্তে ১২ বারেরও বেশি ড্রোন দেখা গিয়েছে। অস্ত্র, মাদ পাচার𓃲 করার জন্য এগুলি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা।
ড্রোন অনুপ্রবেশের তদন্তে নেমে গত সপ্তাহে শ্রীনগর সহ আটটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জম্মু, কাঠুয়াস সাম্বা ডোডাতেও তল্লাশি চালিয়েছওিলেন তদন্তকারীরা। লস্কর-ই-তৈবার শাখা ‘দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট’ ড্রোনের মাধ্যমে এদেশে অস্ত্র পাঠাচ্ছে। এর আগে অমরনাথ যাত্রার প্রাক্কালে সাম্বায় অস্ত্র পাচারের চেষ্টা চালিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। ড্রোনের মাধ্যমেই এই পাচার চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। ড্রোনে অন্তত সাতটি বোমা ছিল। কাঠুয়াতে পুলিশ সেই ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংস করেছিল।
ভারতীয় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে যে লস্করের থেকে ক্রমাগত অস্ত্রের সরবরাহ পাচ্ছে দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট। এবং সেই অস্ত্র সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে পাচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। মূলত পরিযায়ী শ্রমিক এবং সংখ্যালঘু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই এই অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে গত মাসে ফয়সাল মুনির বলে একজনকে গ্রেফতার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। ড্রোনের মাধ্যমে পাচারꦺ হওয়া অস্ত্র মিলেছিল তার কাছে। এর আগে গত ২২ জুলাই বিএসএফ সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অস্ত্রবাহী ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংস করেছিল।
এদিকে শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, পাকিস্তান থেকে ড্রোন অনুপ্রবেশ ঘটছে পঞ্জাবেও। গত বছরের অক্টোবর থেকে এবছর ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে, নিরাপত্তা বাহিনী পঞ্জাবে ৩০০ কেজির বেশি হেরোইন, ১.৫৮ কেজি আফিম, ৪৮টি অস্ত্র, ৫৫৩টি গুলি, ৪.৭৫ কেজি সামরিক গ্রেডের আরডিএক্স বিস্ফোরক বহনকারী অন্তত ছয়টি পাকিস্তানি ডꦜ্রোন আটক করেছে।