দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ধাক্কা খাবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে সেই আশঙ্কার মেঘ কাটিয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র। জানালেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে ভারতের উপর ‘পূর্ণ আস্থা’ আছে। শুক্রবার বিকেলে দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোডে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে মুদৃ আইইডি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর না মিললেও রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। বিশেষত যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে মেরেকেটে দু'কিলোমিটার দূরে ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’ (প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান) চলছিল। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গোটা এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। তারইমধ্যে শুরু হয় কূটনৈতিক তৎপরতা। ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানির দিক থেকে বিস্ফোরণের মাত্রা কম হলেও কূটনৈতিক অভিঘাত রুখতে দ্রুত আসরে নামে নয়াদিল্লি। একগুচ্ছ আশ্বাস নিয়ে ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গাবি আশকেনাজিকে ফোন করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি জানান, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে ভারত এবং কোনও দোষীকে রেয়াত করা হবে না। কূটনৈতিক স্তরে ইজরায়েলের একাধিক প্রতিনিধিকেও সেই আশ্বাস দেওয়া হয়। কথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকেও জানানো হয়, বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে ভারত কী কী পদক্ষেপ করছে, সে বিষয়ে ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মের মে-শাবাতকে জানিয়েছেন ডোভাল। আরব সংবাদমাধ্যমে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানাতে বলেছেন যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তদন্তে পূর্ণ আস্থা আছে ইজরায়েলের। একইসঙ্গে ভারতে ইজরায়েলের নাগরিক এবং ইহুদিদের সুরক্ষা নিশ্চিত রাখার বিষয়েও আস্থা আছে।' সেইসঙ্গে নেতানিয়াহুর মুখপাত্র জানান, সব কূটনৈতিক স্তুরেই ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে যোগাযোগ আছে এবং দু'দেশের মধ্যে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।