লিভ-ইন রিলেশনশিপ শেষ হয়ে গেলে একজন মহিলার পক্ষে একা থাকা কঠিন। এমনই পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইক📖োর্ট। একটি মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এখনও এরকম লিভ-ইন রিলেশনশিপকে মেনে নেয় না সমাজের একটি বড় অংশ। এরকম সম্🦩পর্ককে স্বীকৃতিও দেয় না।
এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি জামিনের মামলা শুনানি চলছিল। প্রতিশ্রুতি দিয়েও নিজের লিভ-ইন সঙ্গীকে বিয়ে না করার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির জামিন মঞ্জুরের সময় হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মন্তব্য করেন, এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ⭕অভিযোগ দায়ের ছাড়া মহিলার কাছে কোনও বিকল্প থাকে না। তাঁদের হাত-পা বাঁধা থাকে।
সংবাদমাধ্যম বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে যে 'এই মামলায় লিভ-ইন রিলেশনশিপের সর্বনাশা প্রভাব উঠে এসেছে। লিভ-ইন রিলেশনশিপ ভেঙে যাওয়ার পর একজন মহিলার পক্ষে একা থাকা কঠিন হয়ে যায়। ভারতীয় সমাজের একটা বড় অংশ লি🌜ভ-ইন রিলেশনশিপকে স্বীকৃতি দেয় না। সেই পরিস্থিতিতে মহিলার কাছে কোনও সুযোগ থাকে না এবং নিজের সঙ্গীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বাধ্য হন। যেমন এক্ষেত্রে হয়েছে।'
কী নিয়ে মামলা হয়েছে? মহিলার আইনজীবীর দাবি, বছরখানেক ধরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন মহিলা। ওই মহিলা আগে একজনের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। প্রথমপক্ষের দুই ছেলেও আছে। পরবর্তীতে লিভ-ইন সম্পর্কের সময় অন্ত্বঃসন্ত্বা হয়ে পড়েন মহিলা। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যক্তি (লিভ-ইন রিলেশনশিপের সঙ্গী) যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। ক🅷িন্তু পরে ওই ব্যক্তি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তারপর প্রাক্তন স্বামীকে দু'জনের ব্যক্তিগত ছবি পাঠাতে থাকেন ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: Anindita-Sourav: দু'বার ভেঙেছে বি♎য়ে, সৌরভের সঙ্গে টিকল না সহবাস! বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন অনিন্দিতা
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধ🐎র্ষণ) এবং ৪০৬ ধারায় (আস্থা ভঙ্গ করা) মামল𝓀া রুজু করা হয়। যদিও ওই মহিলার অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, স্বেচ্ছায় মহিলা লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এরকম সম্পর্কের পরিণতি বুঝেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই মহিলা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই সম্পর্ক শুরু করা হয়নি।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )