দর্শনার্থীদের জন্য প্রায় আট মাস বন্ধ আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মন্দির খুলে দেওয়ার জন্য ওড়িশা সরকারকে প্রস্তাব পাঠাল দ্বাদশ শতকের মন্দিরের পরিচালন সমিতি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে গত ২০ মার্চ থেকে বন্ধ আছে জগন্নাথ মন্দির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জুনে দর্শনার্থীদের সমাগম ছাড়াই রথযাত্রা হয়েছিল। মন্দিরের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব নাগার্জুন বেশাও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছাড়াই আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা ২৭ নভেম্বর হবে। জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রশাসনক (উন্নয়ন) অজয় কুমার জিনা জানান, কার্তিক মাসের পরে মন্দির খোলার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিচালন সমিতি। তিনি বলেন, ‘কার্তিক মাসের শেষদিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছেন অধিকাংশ মানুষ এবং সংস্থা। তাই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে (মন্দিরের দরজা) খোলার জন্য সুপারিশ করেছে পরিচালন সমিতি। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের উপর।’ সেই প্রস্তাবের ফলে দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন মন্দির খুলে দেওয়ার পথে হাঁটতে পারে ওড়িশা। এমনিতেই গত ১১ নভেম্বর থেকে সরকারের মন্দির বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পুরোহিতরা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার ফলে ধাক্কা খেয়েছে মন্দিরের আয়। বাড়ছে খরচ।তবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রস্তাবের আগে যাবতীয় নির্দেশিকা মেনে দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র। যিনি লোকসভা নির্বাচনে পুরী আসনে দাঁড়িয়ে হেরেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘ভগবান এবং তাঁর দর্শনার্থীদের মধ্যে কোনও বাধা থাকা উচিত নয়।’