মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলেছে লো😼কসভা। এই প্রস্তাবের বিপক্ষে বলতে উঠে নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে ডিএমকে-কে তামিলানডু বিধানসভার একটি পুরানো ঘটনার কথা মনে করালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
তিনি বলেন, 'আমি মানছি মণিপুর, দিল্লি, রাজস্থান-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাকী নির্যাতন হচ্ছে। এ নিয়ে কোনও রাজনীতি করার জায়গা নেই। কিন্তু আমি সংসদকে পুরনো একটি ঘটনার কথা মনে করা চাই। ঘটনাটি ১৯৮৯ সালের ২৫ ম🔯ার্চ তামিলনাডু বিধানসভায় ঘটে। তখনও জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রী হননি। তিনি ছিলেন বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় তাঁর শাড়ি টেনে ধরা হয়। ডিএমকে সদস্যরা সেখানে বসেছিল। কোনও প্রতিবাদ করেনি, উল্টে তারা এই দৃশ্য দেখে হেসেছিল।' তাঁর প্ꦦরশ্ন, 'এই ঘটনা কী ডিএমকে ভুলে গিয়েছে? সেদিনই জয়ললিতা শপথ নেন, তিনি আর কখনও বিধানসভায় আসবে না। এলে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আসবেন। দুবছর পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিধানসভায় প্রবেশ করেন।'
কী ঘটেছিল সেদিন
১৯৮৯-এর ২৫ মার্চ তামিলনাড়ু বিধানসভায় জয়ললিতাকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। তিনি ছিলেন বিধানসভার প্রথম মহিলা বিরোধী দলনেতা। তাঁর দলে বিধায়ক সঙ্গে ডিএমকে বিধায়কদের বচসায় উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। সেই সময় ডিএমকে সুপ্রিমো ক꧂রুণানিধিকে অপরাধী বলে সম্বোধন করেন। তার পাল্টা করুনানিধি তাঁকে কিছু একটা নাম ধরে ডাকেন। এরপরই শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। সেই সময় জয়ললিতার শাড়ি ধরে টানেন কোনও এক বিধায়ক। তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান। বেরনোর সময় বলে যান, তিনি মুখ্♛যমন্ত্রী হয়েই বিধানসভায় প্রবেশ করবেন। তার ঠিক দুবছর পর জয়ললিতা বিধানসভায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। এই ঘটনা মানুষের মনে মিথ হিসাবে থেকে গিয়েছে। অনাস্থা নিয়ে আলোচনার ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিকে উদ্দেশ্যে করে এই বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী।
অনাস্থা নিয়ে উত্তপ্ত লোকসভা
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে লোকসভা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, 'মণিপুরে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি।' মোদীকে তোপ দেগে মহুয়া বলেন, '🤡ভারতের মানুষ আপনার ওপর আস্থা হারিয়েছেন।'
মোদীকে বেনজির আক্রমণ শানান লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাতে তুমুল চটে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজের আসন ছেড়ে উঠে অধীরকে পালটা আক্রমণ শানান। অধীরকে ক্ষমা চাইতে বলে দাবি করতে থাকেন সংসদ ✅বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সেইসঙ্গে সংসদের নিয়মাবলী উল্লেখ করে লোকসভার কার্যবিবারণী থেকে অধীরের মন্তব্য বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন। যে দাবি মঞ্জুর করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বাদ দেওয়া হয় অধীরের ওই বিতর্কিত মন্তব্য। তাতে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। অধীরকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলে দাবি তুলতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। অধীর অবশ্য নিজেদের দাবিতে অনড় আছেন।