২০০৪ সালের ১ জানুয়ারির পরে যে সকল কর্মীরা সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের জন্য পুরোনো পেনশন প্রকল্পের অনুমোদন করল ঝাড়খণ্ড সরকার। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পুরনো পেনশন প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চালু হয়েছিল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। তবে কোনও রাজ্যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্টি রাজ্য সরকার। এই আবহে আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, পুরোনো পেনশন প্রকল্প ফেরাবে তাঁর সরকার। এই আবহে পুরোনো পেনশন প্রকল্প🏅 ফেরানোর জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য সচিব,অর্থ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং পার্সোনেল দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এই কমিটিতে রয়ღেছেন। পুরোনো প্রকল্প একবার চালু হলে তা রাজ্যের দেড় লক্ষ সরকারি কর্মী লাভবান হবেন বলে দাবি সরকারের।
২০০৪ সালে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালু করেছে কেন্দ্ಞরীয় সরকার। যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন কাঠামোর আওতায় পড়েন। এনপিএসের আওতায় প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে একটি 'পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর' দেওয়া হয়। বাধ্যতামূলকভাবে বেতনের ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হয় তাঁদের। সেইসঙ্গে সরকারও অর্থ প্রদান করে। আগে যা ছিল ১০ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। অবসরের পর সেই জমানো অর্থের ৬০ শতাংশ একলপ্তে তুলতে পারবেন কর্মচারীরা। সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এবং নথিভুক্ত বিমা সংস্থা থেকে অ্যানুইটি কেনার জন্য তাঁকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সেই অ্যানুইটির উপর যে সুদ পাওয়া যায়, তাই মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। অর্থাত্ নয়া পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়।
কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেক▨ে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযো⛦গ-সুবিধা আছে। সেই পরিস্থিতিতে একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে।